নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষু কাটিয়ে উঠেছে দেশ কিন্তু এখন আশঙ্কা রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের অবধারিতভাবে আসবে বলে দাবি করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে এতে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিশুদের। একই সঙ্গে যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের জন্য তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও শিশুদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ কতটা মারাত্মক হবে না বলে আশ্বাস দিলেন এইমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। কেন শিশুদের ওপর মারাত্মক খেলতে পারবেনা করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ তার ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।
এইমস প্রধান জানাচ্ছেন, দেশে এত দিনে বহু শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারবে না। এই প্রেক্ষিতে তিনি ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, দেশের যে সমস্ত জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম এবং যেসব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ন্যূনতম, সেই সমস্ত এলাকায় ধাপে ধাপে স্কুল খোলা যেতে পারে। কারণ পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের দিকে নজর দিতে হবে বলে স্পষ্ট করছেন তিনি। স্কুল খোলার জন্য শিশুদের ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ভয় বেড়ে যাবে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে বহু শিশু রয়েছে যাদের ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে শরীরে। তাই সেই প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ তাদের শরীরে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে যদি স্কুল খোলার পর সংক্রমণ কোন ভাবে বৃদ্ধি হয় তাহলে স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে বলেও জানিয়ে রাখছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভারতীয় সেনার রিক্রুটমেন্ট ব়্যালি হবে সিমলায়
গত বছর দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাতিল হয়ে গিয়েছে একাধিক পরীক্ষা এবং চলতি বছরেও যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর খুলবে না তা এখন থেকেই স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের উপর এবং সার্বিক ভাবে তাদের শিক্ষায় ঋণাত্মক প্রভাব পড়ছে। সেই প্রেক্ষিতেই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢুকে অতটা না ভয় পেয়ে স্কুল-কলেজ খোলার পরামর্শ দিচ্ছেন এইমস প্রধান। উল্লেখ্য, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে দাবি করা হচ্ছে।