নয়াদিল্লি: একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ ছিল, কিন্তু আদতে তা কিছুই মানা হয়নি। দেদার বাজি ফাটিয়েছে সাধারণ মানুষ। আর এবার সেই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া বায়ুদূষণ করোনা সংক্রমণে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লির এইমস। মনে করা হচ্ছে, সংক্রমণের ঝুঁকি একদিকে যেমন বাড়বে, তেমন বাড়তে পারে মৃত্যুর আশঙ্কা! ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সতর্কবাণী দিয়ে দিয়েছেন এইমস প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া।
জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরের দীপাবলি পরবর্তী সময়ে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান সবথেকে খারাপ ছিল শুক্রবার। দিওয়ালি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচকের গড় পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬২-তে। রাজধানীর বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ এখনই চোখ এবং গলা জ্বালার মত অসুবিধার সম্মুখীন। এতএব বোঝাই যাচ্ছে, কতটা পরিমাণ বায়ুদূষণ হয়েছে গত ২-৩ দিনে। আর এই প্রেক্ষিতেই আশঙ্কা প্রকাশ করে এইমস প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানাচ্ছেন, করোনার মতোই দূষণ শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। সেই কারণে অধিক মাত্রায় দূষণ করোনা সংক্রমণকে আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। এক্ষেত্রে তাঁর আরও ধারণা, বেশি প্রভাব পড়লে ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এইমস প্রধান আরও জানাচ্ছেন, যাদের করোনা সংক্রমণ রয়েছে শুধু তারাই নন, যাদের ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি বা অ্যাজমা রয়েছে তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন ব্যাপকভাবেই।
গবেষণা অনুযায়ী, বায়ুদূষণের একটা বড় প্রভাব পড়ে শিশুদের ওপর। আর এখন করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রেও শিশুদের ঝুঁকি বেশি। তাই আশঙ্কা, এবারেও এই বায়ুদূষণের ফলে তাদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফুসফুসে প্রদাহ থেকে শুরু করে তার চিরতরে ক্ষতি হতে পারে। অর্থাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যার মধ্যে করোনার আঘাত, জীবনের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেবে।