AI-চালিত IVF-এ বিশ্বে প্রথমবার জীবন পেল এক প্রাণ

AI-driven IVF birth যখন সারা দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক, তখন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখাল, প্রযুক্তি শুধু তথ্য বা যন্ত্র নয়, সে আশার আলোও…

AI-driven IVF birth

AI-driven IVF birth

যখন সারা দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক, তখন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখাল, প্রযুক্তি শুধু তথ্য বা যন্ত্র নয়, সে আশার আলোও হতে পারে একজন নিঃসন্তান নারীর জন্য।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো জন্ম নিল একটি শিশু, যার গোটা গর্ভধারণ প্রক্রিয়া—নিষিক্তকরণ থেকে ভ্রূণ তৈরির প্রতিটি ধাপ—সম্পন্ন হয়েছে সম্পূর্ণ রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা, মানবহস্ত ছাড়াই।

যেখানে বিজ্ঞান ছুঁয়ে গেল হৃদয় AI-driven IVF birth

ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর গুয়াদালাহারায়। এক ৪০ বছর বয়সী নারী, যাঁর প্রথম IVF প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল, এবার আশার শেষ আলো হিসেবে বেছে নেন এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে। ডোনারের ডিম্বাণু ব্যবহার করে নতুন করে শুরু হয় প্রক্রিয়া।

সেই যান্ত্রিক ‘নিষিক্তকরণ কক্ষে’—কোথাও নেই কোনো মানুষের হাত, কেবল প্রোগ্রাম করা AI, লেজার, মাইক্রোচিপ ও নিখুঁত যন্ত্রপাতি। তারপরও সেই একফোঁটা জীবনের বীজ, একটিমাত্র নিষিক্ত ডিম্বাণু… ধীরে ধীরে তৈরি হলো এক সুস্থ, প্রাণবন্ত শিশুর।

 AI কী করল? AI-driven IVF birth

এই পুরো IVF প্রক্রিয়ার বিশেষ পদ্ধতি—ICSI—যেখানে একটি একক স্পার্ম ইনজেক্ট করা হয় একটি ডিম্বাণুর মধ্যে। এতদিন ধরে এটি করতেন দক্ষ ভ্রূণবিজ্ঞানীরা হাতে। তবে এই গবেষণায় ২৩ ধাপের প্রতিটি সম্পন্ন হয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে:

AI নিজেই সেরা স্পার্মটি বেছে নেয়

লেজার দিয়ে সেটিকে অচল করে

মাইক্রোইঞ্জেকশন দিয়ে ডিম্বাণুতে প্রবেশ করায়

সবটাই হয় মানবীয় ক্লান্তি, দ্বিধা বা ভুলের বাইরে।

একটি সম্ভাবনা, একটি প্রাণ

পাঁচটি ডিম্বাণুর মধ্যে চারটিই নিষিক্ত হয়। তাদের মধ্যে একটি ভ্রূণ হয়ে ওঠে একটি স্বাস্থ্যবান ব্লাস্টোসিস্ট। তা সংরক্ষণ করে পরে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিছু সপ্তাহ পর, চিকিৎসকরা প্রথম শোনেন সেই ক্ষুদ্র হৃদস্পন্দন— যেটি তৈরি হয়েছে প্রযুক্তির নিঃশব্দ নিখুঁততায়।

এরপর জন্ম নেয় এক সুস্থ পুত্রসন্তান। চোখে জল এনে দেয় এমন এক মুহূর্ত যা চিকিৎসা জগতকে জানিয়ে দেয়— “বিজ্ঞান শুধু টেকনিক নয়, সে আশাও দিতে জানে।”

কারা পিছনে? AI-driven IVF birth

 

এই চমকপ্রদ প্রযুক্তির পিছনে রয়েছেন নিউ ইয়র্ক ও মেক্সিকোর গবেষক দল, নেতৃত্বে বিশিষ্ট ভ্রূণবিজ্ঞানী ডঃ জ্যাকস কোহেন। গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে Reproductive Biomedicine Online-এ।

ডঃ কোহেন বলেন, “এটি IVF চিকিৎসার চেহারাই বদলে দিতে পারে। যন্ত্র কখনও ক্লান্ত হয় না, দ্বিধা করে না, এবং প্রতিবার একই নিখুঁততায় কাজ করে যায়। এতে ডিম্বাণুর টিকে থাকার সম্ভাবনাও বাড়ে।”

ভবিষ্যতের দিগন্ত AI-driven IVF birth

এই প্রক্রিয়া যদিও এখনও পরীক্ষামূলক, কিন্তু আশা জাগিয়েছে লাখো দম্পতির মনে যারা বছর বছর ধরে নিঃসন্তান জীবনের যন্ত্রণায় রয়েছেন।

ভবিষ্যতে যদি আরও উন্নত সংস্করণ আসে, তবে IVF হবে আরও সাশ্রয়ী, আরও সুনির্দিষ্ট এবং সবচেয়ে বড় কথা— আরও অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানকে কোলে নিতে পারবেন।

একটি শিশুর জন্ম সবসময়ই এক অলৌকিক ঘটনা। কিন্তু এই জন্ম—যা ঘটেছে যন্ত্রের নিখুঁত নিঃশব্দ ছোঁয়ায়—সে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি জীবন দিতে পারে, তবে তা কেবল যন্ত্র নয়—এ এক নতুন প্রাণের সম্ভাবনা।

Health: World’s first AI-driven IVF birth! A 40-year-old woman in Mexico successfully conceives through fully automated fertilization. No human intervention—just AI precision. A groundbreaking moment in reproductive technology. Read the full story.