কলকাতা: তিনি মারা গিয়েছেন প্রায় ১০ বছর আগে। সেটা ছিল ২০০৯ সালের ১৫ জুন। চিকিৎসায় গাফিলতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল সেই মৃত্যুকে ঘিরে। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না করে হাই ডোজের স্টেরয়েড দেওয়া, রোগিণীকে অবহেলা করা, পরিকাঠামো না থাকায় অন্য হাসপাতালে রেফার করার উদ্যোগ নিয়েও রেফার না করা সহ গুচ্ছ গুচ্ছ গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের তিন চিকিৎসক ও দক্ষিণ কলকাতার একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
১০ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ডিন ও বর্তমানে সাম্মানিক অধ্যাপক ডঃ দীপক ঘোষের স্ত্রী দীপা ঘোষের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে বলে জানাল রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। পাশাপাশি অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক এবং ওই বেসরকারি হাসপাতালকে গাফিলতির ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ২৭ লক্ষ টাকা দিতে নির্দেশ দিলেন স্টেট কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশন তথা রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দুই সদস্য শ্যামল গুপ্ত এবং উৎপলকুমার ভট্টাচার্য। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি হয়েছে।
এই বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের মধ্যে ন’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তিন অভিযুক্ত চিকিৎসকের মধ্যে দু’জনকে। তাঁরা হলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শ্রাবণী ঘোষ জোহা এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সমররঞ্জন পাল। অন্যদিকে, অভিযুক্ত আর এক চিকিৎসক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়কে দু’লক্ষ এবং অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও তিন অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগিণীর স্বামীকে মামলা লড়ার খরচ বাবদ যৌথভাবে আরও দু’লক্ষ টাকা দিতে বলেছে আদালত।