রাতভর পার্টি শেষে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠা ও সারাদিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। কারণ গত রাতের পার্টি শেষে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য ঘুমের ঘাটতি রয়েই যায়। আর সেই কারণেই মনোযোগও ধাক্কা খায়। সাউথ ফ্লোরিডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতি দিনের ঘুমের পরিমাণের থেকে মাত্র ১৬ মিনিট যদি কম হয় তা হলে কর্মক্ষেত্রে পারফর্ম্যান্স রীতিমতো ধাক্কা খেতে পারে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘স্লিপ হেলথ জার্নালে’। সেখানে লেখা হয়েছে, যে সব ব্যক্তি কয়েক মিনিটও কম ঘুমোন তারা পরের দিন কর্মক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েন। কর্মক্ষেত্রে নিয়োগকারীদের উচিত তার কর্মীদের পরিমাণ মতো ঘুম সুনিশ্চত করা। এমনটাই মত গবেষণার মুখ্য লেখক সোমি লিয়ের। তিনি স্কুল অফ এজিং স্টাডিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর।
রিসার্চের জন্য লি এবং তার সহকর্মীরা ১৩০ জন স্বাস্থ্যবান আইটি প্রফেশনাল এবং স্কুলপড়ুয়াদের উপরে গবেষণাটি চালিয়েছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে ১৬ মিনিট মতো কম ঘুম হলে পরের দিন সমস্যা হয়। মানুষের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এই কারণে বলা হয়, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া৷ পরের দিন সকালে ওঠা জরুরি। এতে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ার সমস্যা এড়ানো যায়।
লি বলেছেন, ‘‘যারা পরিমাণ মতো ঘুমোন, তারা কর্মক্ষেত্রে অনেক বেশি সফল। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের দক্ষতাও বেশি৷ দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমোতে গেলে পরের দিন কর্মক্ষেত্রে তার ছাপ পড়ে।’’
ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে তিনটি খাবার:
গরম দুধ: আয়ুর্বেদের মতে এক গ্লাস গরম দুধ নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য খুবই ভালো। অনেকের এর মধ্যে একটি লবঙ্গ এবং কিছু কুচোনো রসুনও মিশিয়ে দেন।
চেরি: চেরি ফল এমনিই খেতে ভালো। দিনে ১০টির মতো চেরি ফল নাকি রাতে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম সুনিশ্চিত করতে পারে।
ক্যামোমাইল চা: এই চা নার্ভের উপর থেকে চাপ কমায় ফলে মাথা অনেক শান্ত থাকে, এবং ঘুম ভালো হয়।