নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্ব তথা ভারত জুড়ে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। করোনা ভাইরাস রোধে এটাই সবথেকে বড় হাতিয়ার বলে দাবি করা হয়েছে। চিকিৎসক এবং গবেষকদের একাংশ এমনটাই ব্যক্ত করেছেন। এতদিন ধরে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হলেও এখন দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজ, যার প্রধান কারণ করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। কিন্তু গবেষকদের একাংশ মনে করছে যে, চলতি টিকা বা বুস্টার ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে পারবে না। তার জন্য দরকার নয়া টিকা! তাহলে এখন কোন টিকা পাওয়া যাবে ওমিক্রন আটকাতে?
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির বিশাল গ্রানাইট মূর্তি, টুইটে জানালেন নমো
সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় একাধিক বিশেষজ্ঞ সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওমিক্রন রোধে কার্যকর টিকা পেতে গেলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। চলতি বুস্টার ডোজ এই প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে না। ওমিক্রন রুখতে চাই নতুন টিকা। তাই ইতিমধ্যেই নতুন টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ফাইজার, বায়োএনটেকের মতো টিকা সংস্থা। তাঁদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা বাকি যা চলছে। তাই এই মুহূর্তে এই প্রজাতি নিয়ে অসচেতন হওয়ার সময় একদম আসেনি। যে কোনও সময়েই এটি ভয়ানক রূপ নিয়ে নিতে পারে। আর তা হলে অবশ্যই জটিল অবস্থার সৃষ্টি হবে আবার। এখন যে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে সেটাও তাকে ঠেকাতে পারবে না বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে কারণ টিকা যখন বেরিয়েছিল তখন এই প্রজাতি আসেনি।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই ওমিক্রন প্রজাতি ঘনঘন রূপ তৈরি করছে। একাধিকবার মিউটেশন ঘটছে এই ভাইরাসের। তাই তাকে বাগে আনতে নয়া টিকার দরকার পড়বেই। এমনিতেই আবার নতুন আতঙ্ক, ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ ধরা পড়েছে। ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেনে মিলেছে ওমিক্রনের এই নয়া প্রজাতি। চটজলদিই শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে গবেষণা। এটি আসলে ওমিক্রনের নয়া সাব-স্ট্রেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিএ.২। গত ডিসেম্বর মাসে এই নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছিল। তারপর থেকেই আতঙ্ক যে আরও মারাত্মক কিছু প্রজাতি হয়তো ছড়াতে পারে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছিল যে, ওমিক্রনের মোট তিনটি সাব-স্ট্রেন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত ওমিক্রন সংক্রমণ হয়েছে, তার মধ্যে থেকে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন। এখন আবার বিএ.২ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হল।