নয়াদিল্লি: চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে করোনাভাইরাস টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত দেশের প্রায় ৪০ কোটি মানুষ টিকা পেয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ অবশ্য একটিমাত্র টিকা পেয়েছে এবং দুটি টিকা পাওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় সরকারের কোউইন পোর্টাল বলছে যে, দেশের প্রায় অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্করা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ পায়নি। যা অবশ্যই ভাবনার বিষয়।
কোউইন পোর্টালের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে এখনো পর্যন্ত দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৩.৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ পায়নি। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের মোট ৯৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ একটি টিকা পেয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল যে চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় নিয়ে গোটা দেশের মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ করতে চায় তারা। কিন্তু যে হারে টিকাকরণের কাজ এগোচ্ছে তাতে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যান্য অনেক দেশের অধিকাংশ জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে তথ্য উঠে আসছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, যেসব দেশে অধিকাংশ জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ইতিমধ্যেই তাদের জনসংখ্যা ভারতের থেকে অনেক কম। সেই প্রেক্ষিতেই সেটা সম্ভব হয়েছে। তবে ভারতের টিকাকরণের পরিমাণ যে দৈনিক ভাবে আরো বাড়াতে হবে তাতে কোন সন্দেহ রাখছেন না তারা।
আরও পড়ুন- ফের শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি
এদিকে, পুনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি নিজেদের গবেষণায় বলেছে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ কোনরকম সুরক্ষা কবচ তৈরি করছে না শরীরের মধ্যে। তাই জন্য অবশ্যই করোনাভাইরাস সর্তকতা বিধি এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে মানুষকে। যতদিন না পর্যন্ত অধিকাংশ দেশের মানুষ দুটি ভ্যাকসিন ডোজ না নিয়ে নিচ্ছেন ততদিন কঠোর নিয়ম পালন করতে হবে বলে জানাচ্ছে তারা।