নয়াদিল্লি: যত দিন যাচ্ছে তত বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন দেশবাসী। করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্ক এবং আক্রান্ত হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে দেখা গিয়েছে অক্সিজেনের অভাব এবং সার্বিকভাবে টিকার ঘাটতি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, দেশে যদি ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকে তাহলে কিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে এত জনকে। যদিও তথ্য বলছে, ঘাটতির মধ্যেও দেশজুড়ে কমপক্ষে ৪৪ লক্ষ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে! সবথেকে বেশি নষ্ট হয়েছে তামিলনাড়ুতে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বরাদ করা ১০ কোটিরও বেশি ডোজের মধ্যে ৪৪ লক্ষ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক নষ্ট হয়েছে তামিলনাড়ুতে, ১২.১০ শতাংশ। তালিকা এরপরে রয়েছে পাঞ্জাব, মনিপুর এবং তেলেঙ্গানা। যেখানে টিকা নষ্ট হয়েছে যথাক্রমে ৮.১২ শতাংশ, ৭.৮ শতাংশ এবং ৭.৫৫ শতাংশ। যদিও এই প্রেক্ষিতে পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভাল পশ্চিমবঙ্গের। যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে সবচেয়ে কম বেড সিন নষ্ট হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলা। এছাড়াও সেই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে মিজোরাম, কেরল এবং হিমাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে গোয়া, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে, ১৮ বছর বয়স হলেই ভাইরাসের টিকা মিলবে। আবার জানা গিয়েছে, এবার থেকে খোলা বাজারের মিলবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।
৫০% ভ্যাকসিন খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারবে সংস্থা , সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা । এবার মানুষ চাইলে নিজেই ভ্যাকসিন কিনে নিতে পারবে। অর্থাত্ রাজ্যগুলিকে সরাসরি ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকার চাইলে সরাসরি ভারত বায়োটেক বা সিরাম ইনন্সিটিউট থেকে টিকা কিনতে পারবে। কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, ১৮ বছর বয়স হলেই নেওয়া যাবে করোনাভাইরাস টিকা। ১ মে থেকে শুরু হয়ে যাবে এই টিকাকরণ। কয়েক সপ্তাহ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে যারা রয়েছেন তাদের টিকাকরণ হবে। এবার আর বয়সের ভাগ থাকলো না।