নয়াদিল্লি: দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বড় ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় সরকার। এবার জানিয়ে দেওয়া হল, ১৮ বছর বয়স হলেই নেওয়া যাবে করোনাভাইরাস টিকা। ১ মে থেকে শুরু হয়ে যাবে এই টিকাকরণ। কয়েক সপ্তাহ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে যারা রয়েছেন তাদের টিকাকরণ হবে। এবার আর বয়সের ভাগ থাকলো না। ১ মে থেকে ১৮ বছর বয়স হলেই নেওয়া যাবে করোনাভাইরাস টিকা। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশে তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল সাধারণ মানুষকে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এদিন এই বড় ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় সরকার। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ধরা পড়েছে, ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার ১০২ দিন পর ফের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দেশ তথা রাজ্যবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে বৈ কমছে না। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ তাদের গবেষণায় জানিয়েছে, সাড়ে চার থেকে পাঁচ শতাংশ করোনা সংক্রমণ আসলে পুনঃ সংক্রমণ। এমন রোগী রয়েছেন যারা গত বছরেও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এই বছরেও হচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ১০০ জন নতুন সংক্রামিত মধ্যে কমপক্ষে ৫ জন রয়েছেন যাদের আগেও একবার ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছিল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তুলনামূলকভাবে এটা যাচাই করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না যে কারা ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এবং কাদের হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইতিমধ্যে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছর নতুন ভাবে যারা ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের ওপর। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য সামনে এসেছিল, সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে।
বিরোধীরা অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করছিল যে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার বয়স সীমা কমানো হোক। সেই প্রেক্ষিতে অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে গতবছরের আতঙ্ক ফের ফিরে এসেছে চলতি বছরে। সেই প্রেক্ষিতে টিকাকরণের বিষয়ে আরো বেশি প্রাধান্য দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও বিরোধীদের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, টিকা নিয়ে বাজারে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তাহলে সেই প্রেক্ষিতে এত টিকাকরণ সম্ভব হবে কী করে।