কোভিড কেটে গেলেও ক্লান্তি কাটছে না! কী করা যায়…

কোভিড কেটে গেলেও ক্লান্তি কাটছে না! কী করা যায়…

কলকাতা: করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই সুস্থ হয়ে জাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু পুরোপুরি কি সুস্থ হচ্ছেন? এই প্রশ্ন সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে কারণ অধিকাংশেরই মনে হচ্ছে যে চাপা একটা অস্বস্তি থেকে যাচ্ছে সেরে ওঠার পরেও। আর সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লান্তি। অর্থাৎ, কোভিড কেটে গেলেও ক্লান্তি কাটছে না বা কাটতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এই অবস্থায় তাহলে কী করণীয়? আসুন জানা যাক…

আরও পড়ুন- বহুতলে ফের ভয়াবহ আগুন, মুম্বইয়ে মৃত একাধিক

উপসর্গ দৃঢ় হোক বা মৃদু, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর সবথেকে বেশি থেকে যাচ্ছে ক্লান্তি। সপ্তাহ খানেক নয়, অনেক ক্ষেত্রে তা কয়েক মাস পর্যন্ত কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। হয়তো সারাদিনের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু মাঝে মাঝেই চাপা অস্বস্তি মালুম হচ্ছে। এখন কোভিড থেকে সেরে উঠেও ক্লান্তির কারণ একাধিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাহলে কী করা যায়? বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কিছু অল্প নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সেগুলি হল:

ব্যায়াম

করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর হালকা ব্যায়াম করা অত্যন্ত উপকারি বলেই মনে করা হচ্ছে। জিমে গিয়ে নয়, বাড়িতে থেকেই হালকা ফ্রি-হ্যান্ড, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, এগুলি উপকার দেবে।

ফল খাওয়া

ফল অত্যন্ত একটি উপকারি জিনিস। শুধু অসুখ থেকে সারতেই নয়, সাধারণ সময়েও ফল খেলে শরীর ভাল থাকে। আর কোভিড পরবর্তী ক্লান্তি কাটাতেও এই ফল জরুরি। কিশমিশ, কাঠ বাদাম, বেদানা, এইসব ফল খাওয়া যেতে পারে।

রোদ পোহানো

সকলেই জানেন যে ভোরের দিকে রোদ পোহালে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এমনই সময়েও ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে বসা যেতে পারে, তাহলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। প্রতিদিন হালকা রোদ পোহালে শরীর ঝরঝরে হবে।

হালকা খাবার

করোনা আক্রান্ত হলে এমনিতেই শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই সেরে ওঠার পর খাওয়ারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। যত সম্ভব হালকা খাবার খেতে হবে এই সময়। হজম তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে এমন খাবার এই সময় খাওয়াই সবথেকে ভালো। সেদ্ধ ভাত, কম তেল-মশলা দিয়ে করা তরকারি খাওয়া শ্রেয়।

পর্যাপ্ত ঘুম

যত বেশি বিশ্রাম, তত বেশি সতেজ শরীর। কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। যখন ঘুম পাবে সম্ভব হলে তখনই ঘুমিয়ে পড়তে হবে। রাতে বেশি দেরি করা চলবে না। পর্যাপ্ত ঘুম হলে ক্লান্তি আরও তাড়াতাড়ি দূর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *