ফলের গায়ে স্টিকার দেখে ফল কিনছেন? হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতি!

কলকাতা: আপেল, নাসপাতি, কলা, কমলালেবু… বাজারে এমন অনেক ফল কিনতে পাওয়া যায় যার গায়ে স্টিকার আটকানো থাকে। অনেকেই ধরে নেন এমন স্টিকার সাঁটানো ফল স্বাস্থ্যের জন্য…

কলকাতা: আপেল, নাসপাতি, কলা, কমলালেবু… বাজারে এমন অনেক ফল কিনতে পাওয়া যায় যার গায়ে স্টিকার আটকানো থাকে। অনেকেই ধরে নেন এমন স্টিকার সাঁটানো ফল স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভাল। ফলের গুনগত মানও ভাল। কিন্তু, সত্যি কি তাই? ফলের গায়ে স্টিকার মানেই কি সেগুলি বাইরের দেশ থেকে এসেছে। না… এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং বাজারে এমন ফল দেখলে অতিরিক্ত টাকা খসিয়ে কেনার আগে জেনে নিন।

বিদেশে ফলের গায়ে এই ধরনের স্টিকার দেখতে পাওয়া যায়। যা ফলটি সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়ে থাকে ক্রেতাকে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ বা এফএসএসএআই’ বলছে, এদেশে এমন কোনও নিয়ম নেই। বরং ভারতে এই ধরনের স্টিকার ফলের খুঁত ঢাকতে ও বেশি দাম হাঁকাতে ব্যবহার করে থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী।

ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে ফলের গুণমান, দাম ও কোন প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বোঝানো হয়। স্টিকারে উল্লেখ করা নম্বর বা কোড দেখে বোঝানো হয় সেটি কীভাবে চাষ করা হয়েছে। যেমন, কোনও ফলের গায়ে সাঁটা স্টিকারে যদি ৪ সংখ্যার কোড থাকে, এবং সেটি যদি ৩ বা ৪ দিয়ে শুরু হয়, তাহলে বুঝতে হবে, এটি এমন কোনও জায়গায় চাষ হয়েছে, যে জমিতে কৃত্রিম সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ হয়।

আবার কোনও স্টিকারে যদি ৫ ডিজিটের কোড থাকে। শুরুর সংখ্যাটি ৮ হয়, তার মানে ওই ফলটি জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। সেক্ষেত্রে এই ফল শরীরে গেলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের ফল খাওয়ার মানে স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ দেকে আনা। আবার যদি ফলের গায়ে সাঁটা স্টিকারে ৫ সংখ্যার কোড তাকে, আর সেটির শুরু হয় ৯ দিয়ে, তাহলে বুঝতে হবে ওই সম্পূর্ণ জৈব প্রক্রিয়ায় চাষ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনও কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয় নি। এই ফল সবচেয়ে নিরাপদ। এই সব নিয়ম বাইরের দেশে প্রযোজ্য। যা মানতেই হবে ফল বিক্রেতাদের। ভারতে এমন কোনও স্টিকার ব্যবহারের কোনও নিয়ম নেই। বরং এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে ভুল বোঝানো হয় ক্রেতাদের। অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, এই স্টিকারগুলিতে যে ধরনের আঠা ব্যবহার করা হয় তা ফলের গায়ে লাগানো থাকে। সেই রাসায়নিকে উল্টে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এবার বাজার থেকে ফল কেনার আগে সাবধান হয়ে যান। স্টিকারের ভরসা না করে ফল-সব্জির গুণমান নিজেই যাচাই করুন।