HIV হলেই জীবন শেষ? লক্ষণগুলো আগে জেনে সতর্ক হোন

কলকাতা: মহামারির আকার নিচ্ছে এইচআইভি এইডস?খুব সাবধান!ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।মারণ এইচআইভির লক্ষণগুলো জানেন‌ তো?সতর্ক হতে হবে প্রথম থেকে।এইচআইভি পজিটিভ মানেই কি জীবন শেষ? ত্রিপুরাকে দেখেছেন? সতর্ক হতে…

কলকাতা: মহামারির আকার নিচ্ছে এইচআইভি এইডস?খুব সাবধান!ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।মারণ এইচআইভির লক্ষণগুলো জানেন‌ তো?সতর্ক হতে হবে প্রথম থেকে।এইচআইভি পজিটিভ মানেই কি জীবন শেষ?

ত্রিপুরাকে দেখেছেন? সতর্ক হতে হবে তো? জ্বর একটা বড় লক্ষণ এইচআইভির। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠে সকলে। জীবন-মরণ সমস্যা তো বটেই, তার উপর রয়েছে নানা সামাজিক ছুঁতমার্গ, পুরনো সংস্কার। অবশ্যই এইচআইভির একটি কারণ অনিয়ন্ত্রিত যৌন সংসর্গ। কিন্তু আরও হাজারো কারণ রয়েছে এই সংক্রমণের। লক্ষণে যে জ্বরের কথা বললাম, সেই জ্বর কী সাধারণ জ্বরের থেকে আলাদা? সেটাও জানা জরুরি। দেখুন, প্রথম প্রথম এই জ্বর প্রায় চার সপ্তাহ কাবু করে রাখে। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত ঘাম হয়। অল্প গরমেই জামা-কাপড় ভিজে যেতে পারে। এমনকি ঘুমের মধ্যেও অস্বাভাবিক ঘাম হয়। একই সঙ্গে ঘাম, জ্বর শরীরকে নাজেহাল করে তুলতে পারে।

গলায় ব্যথাও আরেকটা লক্ষণ। হ্যাঁ, এইচআইভি সংক্রমণ হলে শুরুতে গলায় অস্বাভাবিক ব্যাথা হয়। রোগীর ঢোক গিলতে বা কোনও খাবার খেতে কষ্ট হয়। জল খেতেও অসুবিধা হয়। একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৮৮ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই গলায়, মাথায় রেশ দেখা দেয়। তীব্র প্রদাহ হতে শুরু করে চাকা চাকা হয়ে ফুলে থাকা জায়গাগুলোতে। তাছাড়া এইচআইভি সংক্রমণ শুরু হলে শুরুর দিকে অনেকের বমি ভাব হয়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা যত কমতে থাকে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বমি ভাব। সঙ্গে ডায়েরিয়া, মাথা ব্যাথা, মুখে ঘা, অবসন্ন ভাব এবং জেনিটাল আলসারের মতো লক্ষণগুলো ও থাকতে পারে রোগীর শরীরে।

শুধু আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনসঙ্গমই নয়, ভ্যাজাইনাল, ওরাল ও অ্যানাল সঙ্গমও ঝুঁকির বিষয়। আক্রান্ত মাদকাসক্ত রোগীর ইঞ্জেকশন কিংবা ব্লেড ব্যবহার, আক্রান্ত রোগীর সার্জিক্যাল ব্লেড কিংবা ইঞ্জেকশন নিডল ব্যবহার, প্রেগনেন্সির সময় আক্রান্ত মায়ের দেহ থেকে শিশুর দেহে ট্রান্স প্লাসেন্টাল ট্রান্সফার, সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত না করে ট্যাটু কিংবা বডি পিয়ার্সিং থেকে ছড়াতে পারে এইচআইভি।
তবে করমর্দন করা, একসঙ্গে কাজ করা, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, টয়লেট সিট ও দরজার হাতল ব্যবহার করলে রোগ ছড়ায় না।

তবে অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি বা এআরটির হাত ধরে মারণ এইচআইভি এখন ক্রনিক অবস্থায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে এইচআইভি রোগীরা এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। তবে এই ধরনের রোগীদের মধ্যে ডিপ্রেশন, মানসিক অবসাদ বিরাজ করে। সেক্ষেত্রে যোগাসন, ভালো খাবার, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুমের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।