গরমে কিডনি ফেলিওরের ঝুঁকি! কীভাবে যত্ন নেবেন?

কলকাতা: এই গরমে যদি প্রস্বাবের কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দেরি করবেন না প্লিজ৷ দ্রুত যান চিকিত্সকের কাছে৷ কেন এমনটা বলছি জানেন? কারণ এর যোগ…

কলকাতা: এই গরমে যদি প্রস্বাবের কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দেরি করবেন না প্লিজ৷ দ্রুত যান চিকিত্সকের কাছে৷ কেন এমনটা বলছি জানেন? কারণ এর যোগ সরাসরি আপনার কিডনির সঙ্গে হতে পারে৷ এই গরমে নিতে হবে কিডনির এক্সট্রা কেয়ার৷ এই গরমের কারণে কিডনি নষ্ট হচ্ছে কীভাবে? গরমের সঙ্গে কিডনির সম্পর্কই বা কী?

নেফ্রোলজিস্টরা জানাচ্ছেন, গরমের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর ফলে শরীরে জলের অভাব হয়। যার ফলে রক্তও ঘন হতে থাকে। এ কারণে শরীরে রক্ত চলাচল কমে যায়। সঠিক রক্ত চলাচলের অভাবে কিডনিতে রক্ত ​সরবরাহ ঠিকমতো হয় না। আর এটাই কিডনির কাজকর্মকে প্রভাবিত করে। যার ফলে শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে অক্ষম হয় কিডনি।

ডাক্তারি ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় একিউট রেনাল ফেইলিউর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও এই সমস্যা হতে পারে। তাহলে কিডনি ভালো রাখতে কি শুধু পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলেই হবে নাকি আরও অন্য কোনওভাবে নেওয়া যেতে পারে যত্ন? চিকিত্সকেরা বলছেন, কিডনি নষ্ট হওয়ার উপসর্গগুলো হল, উচ্চ রক্তচাপ, কম প্রস্রাব হওয়া, হাত-পা বা অন্যান্য অঙ্গ ফুলে যাওয়া৷ তাই এধরণের লক্ষণ যদি দেখতে পান তাহলে অপেক্ষা না করে দ্রুত যেতে হবে ডাক্তারের কাছে৷

অত্যধিক গরমের জন্য শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে। সাধারণত মানুষকে দিনে ২-৩ লিটার জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এই সময়ে দিনে ৫-৬ লিটার পানীয় পান করা উচিত। বিশেষ করে যাঁরা মাঠে কাজ করেন তাঁদের প্রতি ঘণ্টায় জল পান করা উচিত। এজন্য জলের বোতল সঙ্গে রাখুন। সাধারণ জল ছাড়াও লেবু-নুন দিয়ে শরবত পান করতে পারেন। তবে যাঁদের ব্লাড প্রেসারের সমস্যা আছে, তাঁদের নুন খাওয়া উচিত নয়।

তবে কারোর তীব্র রেনাল ফেলিওর হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী এক মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনি সেরে উঠতে পারে না। এ ধরনের ক্ষেত্রে রোগীদের ডায়ালিসিস করতে হয়। তবে এত বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই চেষ্টা করুন নিজের খেয়াল রাখার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *