কলকাতা: ভালোবাসার মানুষকে দিনে ঘন ঘন ফোন?আপনার জীবনে প্রেম কি আসক্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে?খুব সাবধান!লাভ ব্রেইন ডিসর্ডারে ভুগছেন না তো আপনি?এই রোগে আক্রান্তের মস্তিষ্কে ঠিক কী দেখা যায় জানেন?
সীমা অতিক্রম করলে কোনো জিনিসই স্বাভাবিক থাকে না। তাই প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি ভালবাসা বাড়তে বাড়তে যদি দিনে ১০০ বার ফোন করে খোঁজ নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তা হলে সেটা সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি করে বইকি!
বা ধরুন আপনি আপনার ভালবাসার মানুষের চিন্তায় একেবারে উন্মাদ। তার খোঁজ খবর না পেয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করছেন, নিজেকে বন্ধ করে আটকে রাখছেন, কিংবা হয়তো নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছেন। এগুলো কোনটাই কি স্বাভাবিক? একেবারেই নয়।
চলতি বছরে, চিনে যে ঘটনাটা ঘটেছিল সেটা এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো এক্সাম্পল হতে পারে। যা থেকে এটা পরিস্কার যে আপনার ভালবাসার মানুষের প্রতি আপনি কখনোই খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন না। তাকে নিজের জগৎ বানিয়ে ফেলবেন না। কি ঘটেছিল চীনে? চিনের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিওয়াউ নামে বছর ১৮-র এক তরুণী শুরু থেকেই প্রেমিকের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন।
প্রেমিক কখন কোথায় রয়েছেন জানতে বার বার তাঁকে ফোন করতেন। এক দিন সীমা ছাড়ালেন! মেসেজ, মেসেজের রিপ্লাই না পেয়ে ভিডিও কল! ১০০ বারের বেশি ফোন করে ফেলেছিলেন প্রেমিককে। অতিষ্ঠ হয়ে যুবকও ফোন তোলেননি। তাতেই বিপত্তি! প্রেমিক ফোন না তোলায় জিওয়াউ এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর শুরু করেন। ওই ঘটনার পর ভয় পেয়ে পুলিশে খবর দেন যুবক। সেই সময় বাড়িতে পুলিশ আসায় ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেওয়ারও হুমকি দেন জিওয়াউ। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীদের সাহায্যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই কিন্তু তাঁর মস্তিষ্কের ওই সমস্যা ধরা পড়ে৷
ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, অবসাদ, উদ্বেগ, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে ‘লাভ ব্রেন’ নামক এই মস্তিষ্কের সমস্যাটিও থাকতে পারে৷ যার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর।
সেক্ষেত্রে সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম থেকেই একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, এমন তীব্র অধিকার বোধের ফলে প্রেমিক বা প্রেমিকার দমবন্ধ অবস্থা হয় বা সম্পর্কে তার প্রভাব পড়ে, বিষয়টা যেন কখনো এরকম পর্যায়ে না যায়। তার আগেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।