কুমড়োই সারাবে ব্রন! পুজোর আগে উধাও পিম্পল

কলকাতা: ব্রণ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। কারোর ত্বকের সমস্যা তো কারোর লাইফস্টাইলে সমস্যা৷ বিশেষ করে কমবয়সিদেরই ব্রণ নিয়ে নাজেহাল হতে বেশি দেখা যায়। নেপথ্যে…

কলকাতা: ব্রণ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। কারোর ত্বকের সমস্যা তো কারোর লাইফস্টাইলে সমস্যা৷ বিশেষ করে কমবয়সিদেরই ব্রণ নিয়ে নাজেহাল হতে বেশি দেখা যায়। নেপথ্যে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খাওয়া, বেশি তেলমশলাদার খাবার খাওয়া, রাত জাগা, ঠিক করে ত্বকের যত্ন না নেওয়া— মূলত এই কারণগুলির জন্যেই ব্রণ হয়। তাই শুধু ত্বকের পরিচর্যা না, এবার ৩ টে সুপারফুড ডায়েটে রাখলেই পুরোপুরি মুক্তি পাবেন ব্রনর সমস্যা থেকে৷

প্রথমেই আসে পাতিলেবু৷ লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা শুধু শরীর নয়, একই সঙ্গে যত্ন নেয় ত্বকেরও। পাতিলেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ত্বক ভাল রাখতে কতটা কার্যকরী, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে ভিটামিন সি সত্যিই উপকারী। তবে দাঁড়িয়ে যান সরাসরি ত্বকে লেবুর রস লাগানো ঠিক হবে না। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্রণের ওষুধ যে কুমড়ো হতে পারে, তা জানেন না অনেকেই। কুমড়োতে রয়েছে জিঙ্ক, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও কুমড়ো উপকারী। ব্রণের সমস্যা থাকলে কুমড়ো খেলে উপকার পেতে পারেন। এছাড়াও যে কোনও বেরিজাতীয় ফল৷ স্ট্রবেরি, চেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা রক্ত পরিশুদ্ধ করে। রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। তা ছাড়া এই ফলগুলিতে ভিটামিন সি-ও কম নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। উপকারী এই উপাদানগুলি ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করে নিমেষে। সেই সঙ্গে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি দেয়।

তবে ব্রন রোখার জন্য রয়েছে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম৷ এমন খাবার খান যাতে জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় পদার্থ আছে। যেমন সামুদ্রিক মাছ। এতে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমে। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পাউরুটি বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে, সো়ডা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি হয়। এই ধরনের খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা ব্রণের কারণ হতে পারে। য়া দাওয়ার অভ্যাসের কারণে অনেক সময় ত্বকের নানা উপসর্গ দেখা যায়। পেট পরিষ্কার না হলে বা লিভারের সমস্যা না থাকলেও ব্রণ হতে পারে। তাই খাদ্যাভাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে কিন্তু এড়িয়ে যেতে পারেন সেই সমস্যা। তবে মনে রাখবেন এই সব কিছু করেও সমস্যার সমাধান না হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় বয়ঃসন্ধি কালে হরমোনের ক্ষরণের কারণে ব্রণ হয়। তাই চিকিৎসকের মতামত নিয়ে নেওয়া ভাল।