রোগী ফেরালে লাইসেন্স বাতিল! স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি মমতার

রোগী ফেরালে লাইসেন্স বাতিল! স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি মমতার

কলকাতা: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বারংবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে এই ধরনের অভিযোগ বারংবার আসছে এবং তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার আরো একবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী ফেরানো হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের! এর আগেও এই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলি অতটা গুরুত্ব দেয়নি।

রাজ্যের প্রায় এক হাজার ৬০০ বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৯০ শতাংশ নার্সিংহোম রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নিজেদের নাম তালিকাভুক্ত করেছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্দেশ মেনে রোগীদের পরিবারকে সহায়তা করতে প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী হেল্পডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। এই দিকে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে ন্যূনতম দশটি শয্যা রয়েছে সেখানেও আবশ্যিকভাবে এই কার্ড গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনভাবে রোগী ফিরিয়ে দিলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এমনকি কর্পোরেট হাসপাতালগুলিকেও এই নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত আজই, নির্বাচনের আগে প্রতিটি রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আরও বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন কেনার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটের সময় সকল মানুষ বাধ্য হবেন টিকা ছাড়া ভোট দিতে যেতে। তাই যাতে সকলকে ভ্যাকসিন প্রদান করা যায়, সেই কারণে বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন কেনার আবেদন তিনি করছেন। এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস টিকা নিতে গেলে টাকা দিয়ে তা কিনতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। যদিও সেটা শুধুমাত্র প্রযোজ্য বেসরকারি হাসপাতালের জন্য, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। যদিও টিকার দাম কত হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি চূড়ান্তভাবে। ফাইল ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *