নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত জানুয়ারি মাস থেকে সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত টিকাকরণ কর্মসূচি। একসঙ্গে দুটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিল। এবার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েও প্রত্যক্ষভাবে প্রশ্ন উঠে গেল। আদৌ কি এই ভ্যাকসিন সুরক্ষিত তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চেয়েছে আদালত। এর সবচেয়ে বড় কারণ এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বেশ কয়েকজনের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ, এই অভিযোগ তুলে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন একজন স্বেচ্ছাসেবক। সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে আদালত। মামলাকারী দাবি করেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাধারণ কাজ করার সময়ও শারীরিক অক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। তাই ভ্যাকসিন আদৌ সুরক্ষিত কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। মূলত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা অর্থাৎ সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া স্পষ্ট করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত। এই প্রেক্ষিতে তারা মামলাকারীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত গিয়েছে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হওয়া স্বাভাবিক সেটা আগেই বলা হয়েছিল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারও রেকসিন কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়ার সময় থেকেই দুটি ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রচার চালিয়েছে।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকার যাই বলুক না কেন, কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক এখনো পর্যন্ত বহাল। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল যা এক কথায় মারাত্মক ব্যাপার। যদিও কেন্দ্র জানিয়েছিল, সব দিক বিচার করার পরেই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর গোটা দেশজুড়ে বহু মানুষের অসুস্থ হওয়ার খবর সামনে এসেছে এমনকি মৃত্যুর খবরও চেপে থাকেনি। তাই এই মামলার কারণে ভ্যাকসিন নিয়ে সাধারন মানুষের মনে আরো বেশি সন্দেহ তৈরি হল তা বলাই বাহুল্য।