৩০ পেরোলেই খান ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল! ম্যাজিক হবে

কলকাতা: বয়স ৩০ পেরোলেই ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল খান৷ একবার খেলেই বুঝবেন হার্ট কেমন চাঙ্গা থাকছেন৷ ৫ রোগ আজীবন ছুঁতেও পারবে না আপনাকে৷ কীভাবে বানাবেন এই…

কলকাতা: বয়স ৩০ পেরোলেই ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল খান৷ একবার খেলেই বুঝবেন হার্ট কেমন চাঙ্গা থাকছেন৷ ৫ রোগ আজীবন ছুঁতেও পারবে না আপনাকে৷ কীভাবে বানাবেন এই ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল?

শরীরকে সুস্থ রাখতে, রোগভোগকে দূর ভাগাতে এবার খেতে শুরু করুন ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল৷ তবে অবশ্যই বয়স যদি ৩০য়ের গন্ডি পের হয় তাহলেই৷ জানেন নিয়মিত এই জল খেলে ডায়াবেটিস ছুঁতেও পারবে না আপনাকে৷ হার্ট থাকবে একেবারে সতেজ, হজমশক্তি হবে দারুণ৷ শরীরে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ হ্যাঁ এই সবজি ভেজানো জলে রয়েছে এমনই সব গুণ৷ ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে ঢ্যাঁড়স–জল দারুণ উপকারী। এতে পাবেন দ্রবণীয় আঁশ, যা অন্ত্রে শর্করার শোষণ ধীরগতির করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ‘ফার্মাসিউটিক্যাল বায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢ্যাঁড়সের বীজ এবং এর আবরণে অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য আছে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রে। এ কারণে ভুগতে হয় কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বদহজমের মতো সমস্যায়। নিয়মিত ঢ্যাঁড়স–জল খেলে এমন সমস্যায় স্বস্তি পাবেন। ঢ্যাঁড়সে মিউকিলেজ বা সাইলিয়াম নামে থিকথিকে একধরনের উপাদান থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রে আরাম দেয়। এই মিউকিলেজ খাবার হজমে সহায়ক বলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কিন্তু কীভাবে বানাবেন এই ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল?

৪-৫টি তাজা ঢ্যাঁড়স ভালো করে ধুয়ে নিন, যাতে কোনো ময়লা বা কীটনাশক না থাকে। ঢ্যাঁড়সগুলো কেটে ছোট ছোট টুকরা করুন। টুকরাগুলো এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানি ছেঁকে নিন। খালি পেটে ঢ্যাঁড়স–জল খাওয়া ভালো। প্রথমে অল্প অল্প করে শুরু করুন। এতে শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। বয়স ৩০ পেরোলে হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখা খুব জরুরি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ঢ্যাঁড়স–পানি হৃৎস্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। ঢ্যাঁড়সে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হৃদ্‌রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও হ্রাস করে। এ ছাড়া ঢ্যাঁড়সের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ধমনিতে ‘প্লাক’ জমতে বাধা দেয়। এই প্লাক হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম কারণ।

ঢ্যাঁড়স–পানি হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। ঢ্যাঁড়সে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন কে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। তাই এবার ঢ্যাঁড়শেই থাক ভরসা৷ ট্রাই করে দেখুন৷ উপকার পাবেন৷

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *