ছিপছিপে চেহারা পেতে চান? মেনে চলুন জাপানি ডায়েট

কলকাতা: চেহারায় বয়সের প্রভাব কমাতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা দরকার। আর আজকাল, জাপানি ও কোরিয়ান লাইফস্টাইল বেশ চর্চায়। তাঁদের সুন্দর ত্বক, ছিপছিপে শরীর সকলের কাছেই…

কলকাতা: চেহারায় বয়সের প্রভাব কমাতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা দরকার। আর আজকাল, জাপানি ও কোরিয়ান লাইফস্টাইল বেশ চর্চায়। তাঁদের সুন্দর ত্বক, ছিপছিপে শরীর সকলের কাছেই কাঙ্ক্ষিত। এই প্রতিবেদনে এমন এক ডায়েটের কথা জানাবো আপনাকে, যা ফলো করলে উলটো দিকে গড়িয়ে যাবে বয়স!

ওজন কমাতে চান অনেকেই, কিন্তু চাইলেই তো আর ওজন কমানো যায় না। এর জন্য পরিশ্রম করা জরুরি। আর ছিপছিপে চেহারার জন্য কসরতও কম করতে হয় না। এখন সমস্যা হল কাজের ব্যস্ততায় সব সময় ঘড়ি ধরে খাবার খাওয়া বা জিমে যাওয়া কোনওটাই সম্ভব হয় না। তাহলে কীভাবে ঝরাবেন মেদ? রইল টিপস। এক্ষেত্রে আপনি ফলো করতে পারেন জাপানি ডায়েট।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সুনাম রয়েছে জাপানিদের। জাপানিদের নিজস্ব ডায়েটের নাম ‘হারা হাচি বু’। যার অর্থ পেটে যা জায়গা রয়েছে তার ৮০ শতাংশ খাওয়া। অর্থাৎ কখনই পেট ভর্তি করে খাবার খাওয়া নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এদেশের বেশিরভাগ বাসিন্দা ১০০ বসন্ত কাটিয়ে ফেলেন শুধু এমন স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে। শুধু তাই নয়, খাদ্যাভ্যাসের এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই তাঁরা ছোট-বড় রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে এক গবেষণায়। তাই এবার থেকে সুস্থ থাকতে মেনে চলতে পারেন জাপানিদের ডায়েট পদ্ধতি।

জাপানি ডায়েট ওজন কমাতে দারুণ সাহায্য করে। যাঁরা মেদ গলানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য এই ডায়েট আদর্শ। এই ডায়েটে কম পরিমাণে খাবার খেতে বলা হয়। তাঁদের মতে ৮০ শতাংশর উপর খাওয়া মানেই অতিরিক্ত খাওয়া। দেহের প্রয়োজন সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ খাদ্য। তাতে হজম শক্তি বাড়ে। এর থেকে বেশি খেলে পাকস্থলিতে চাপ পড়ে। খাবার ভেঙে যায়। ফলে তার খাদ্যগুণও নষ্ট হয়ে যায়। যেখান থেকে নানা রকম শারীরিক সমস্যার সূত্রপাত। তাই কম পরিমাণে নিয়ে, খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হাই ক্যালোরির খাবার পাতে রাখুন। তাতে তাড়াতাড়ি পেট ভরবে। এমনকী পুষ্টির চাহিদাও মিটে যাবে। পেট প্রায় ভর্তি হওয়ার অনুভূতি এলেই খাওয়া থামিয়ে দিন। ব্যস, তাহলেই কেল্লাফতে। এই পদ্ধতিতে খাবার খেলে খুব ভালো হজম হয়। এছাড়াও শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। ফলে রক্ত জমাট বাধার মতো জটিল সমস্যা হয় না। হার্টের সমস্যা আসে না। এছাড়াও বয়স জনিত সমস্যা শরীরকে কাবু করতে পারে না। এক থেকে তিনমাস এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *