সুগার ফল করার লক্ষণ কী? দ্রুত ব্যবস্থা না নিলেই বিপদ

কলকাতা: রক্তের শর্করা অত্যন্ত গোলমেলে জিনিস। বাড়লেও মুশকিল আবার কমলে আরও মুশকিল। আর রক্তে এই শর্করা কমা বা সুগার ফল হয় যখন তখন হুটহাট করে৷…

কলকাতা: রক্তের শর্করা অত্যন্ত গোলমেলে জিনিস। বাড়লেও মুশকিল আবার কমলে আরও মুশকিল। আর রক্তে এই শর্করা কমা বা সুগার ফল হয় যখন তখন হুটহাট করে৷ আর তখনই ঘটে যেতে পারে বিপদ৷ কীভাবে বুঝবেন কারোর সুগার ফল হলে? হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ কী? আচমকা শরীরে শর্করার মাত্রা কমে গেলে অথবা রক্তে সুগার ৭০এর নীচে নেমে গেলে সেই অবস্থাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’৷

আচমকা সুগার লেভেল নীচে নেমে গেলে প্রচন্ড মাথা ঘুরতে থাকে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। বুক ধড়ফড় করে, হাত পা কাঁপতে থাকে। সাংঘাতিক ক্লান্ত লাগে। পেশিতে খিঁচুনি হয়। অনেকে আবার অজ্ঞান হয়ে যায়। অনেকের আবার ঘুমের মধ্যে ঘাম বের হয়। চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। এবার এই উপসর্গ থাকলেই সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এসব ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা না নিলে বড় ক্ষতি হতে পারে। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত? কী কারণে কমে সুগার৷ ডায়াবিটিস রয়েছে যাদের তাদের ক্ষেত্রে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন বা ওষুধ। মেডিসিনের প্রভাব সুগার লেভেল স্বাভাবিকের কাছেই থাকে। কিন্তু যদি নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করা হয় তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা কমে যেতে পারে। এছাড়া টেনশন, অ্যাংজাইটি থেকেও রক্তে শর্করার হারে তারতম্য ঘটে। এছাড়া অনেক সময় সুগারের রোগীরা খালি পেটে বহুক্ষণ শরীর চর্চা করলেও একই পরিস্থিতি হতে পারে। সাধারণত সুগার ফল করার সমস্যা ডায়াবিটিস না থাকলে খুব কম ব্যক্তির মধ্যেই দেখা যায়।

এরকম পরিস্থিতি সঙ্গে সঙ্গে মুখে লজেন্স, চকোলেট দেওয়া উচিত। তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে সামান্য গরম জলে এক চামচ চিনি মিশিয়ে খাইয়ে দিন রোগীকে। খাওয়ার পরে সুগারের মাত্রা মেপে দেখার পরেও যদি দেখা যায় কোনও উন্নতি হয়নি, তাহলে ফলের রস, মিষ্টি এধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

ঘরে থাকলে আপনি অবশ্যই শরীর খারাপ লাগলে সুগার মাপুন। তা স্বাভাবিকের থেকে নীচে নামলে তবেই খান চিনি বা গ্লুকোজ। নইলে সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে আনুন। তবেই বাঁচবে প্রাণ।