বর্ষাকালে পিরিয়ড হলে কীভাবে এক্সট্রা কেয়ার নেবেন?

কলকাতা: প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার আগেই কোমর ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা বা মুড সুইং৷ তার মধ্যে বর্ষাকালে গা ম্যাজ ম্যাজ তো রয়েছেই৷ পিরিয়ড হওয়ার আগে মহিলাদের…

কলকাতা: প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার আগেই কোমর ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা বা মুড সুইং৷ তার মধ্যে বর্ষাকালে গা ম্যাজ ম্যাজ তো রয়েছেই৷ পিরিয়ড হওয়ার আগে মহিলাদের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। যাকে বলে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম বা পিএমএস। এসময় নিজেদের যত্ন নিন এক্সট্রা৷ এসময় ক্লান্তি, অস্বস্তি এবং মন খারাপও ঘিরে ধরে। এদিকে সারা গা, হাত-পায়ে ব্যথা শুরু হয়ে যায় অনেকের। যন্ত্রণায় ছটফটও করেন। মোটামুটিভাবে ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মহিলাই এমন সব লক্ষণের শিকার হন। কিন্তু এই যন্ত্রণা নিয়ে তো রোজকার কাজে মন বসানো কঠিন। তাই ঘরোয়া এই কটা টিপস মানলে আপনি হয়ে উঠবেন একেবারে চাঙ্গা৷

রোজ শরীরচর্চা করুন৷ আসলে রোজ ব্যায়াম করলে সমগ্র শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। ফলে দেহের সমস্ত কলা কোষে অক্সিজেন পৌঁছে যায়। পেশি থাকে সুস্থসবল। তাই গা, হাত-পায়ে ব্যথাও কমে। এই একই কারণে পিরিয়ডের আগেও শরীরচর্চা করে যেতে হবে। তাতেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। এক্ষেত্রে হালকা যোগাসন, হাঁটাও কাজে দেবে। তবে পিরিয়ড চলাকালীন হাঁটাহাটি না করে বিশ্রাম নিন৷ মাসিক চলাকালীন রাত জাগবেন না। এতে শরীর আরো ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। একই সঙ্গে ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তিও বাড়তে পারে।

এসমসয়ে হাতে-পায়ে ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁকের মতো অব্যর্থ ঘরোয়া টোটকা আর নেই। কোনও কিছু না ভেবেই গরম সেঁক দিন। দেখবেন এতেই বেশ খানিকটা আরাম মিলেছে।এর সঙ্গে ঈষদুষ্ণ জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখলেও বেশ আরাম লাগবে। পাশাপাশি চাইলে হট ওয়াটার বাথ নিতে পারেন। সেই জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে দিলে তো আরও ভালো। পিরিয়ডের আগের স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং ডিপ্রেশনও তাতে দূর হবে।

ব্যথা কমাতে গরম সেঁকের পাশাপাশি কোল্ড কমপ্রেসও সমানভাবে কার্যকরী। এর জন্য ফ্রিজে থাকা আইস প্যাক ব্যথার জায়গায় ঘষুন কিছুক্ষণ। আইস প্যাক না থাকলে রুমালের মধ্যে কয়েক টুকরো বরফ জড়িয়ে ঘষুন। এতেই বেশ খানিকটা আরাম পাবেন আপনি। তবে মাসিক চলাকালীন ও এর আগে ভালোভাবে নজর দিতে হবে আপনার ডায়েটে৷ স্বাস্থ্যকর খাবার বিশেষ করে মৌসুমি ফল, সবজি, ডিম খেতে পারেন। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ভাজাপোড়া, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এসময় দই, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকসহ কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে। এ সময় অতিরিক্ত কফি খাবেন না। বাইরের ফাস্ট ফুড ছেড়ে হেলদি খাবারেই পেট ভরাতে হবে। এছাড়াও পাতে রাখতে সব ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারকে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ম্যাগনেসিয়াম ব্যথা, ক্র্যাম্প কমাতে সিদ্ধহস্ত। তাই ডার্ক চকোলেট, কুইনোয়া, অ্যাভোকাডো, আমন্ড ও কাজু বেশি করে খান।