ডায়েটে অ্যাড করুন ফুচকা! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি

কলকাতা: ফুচকার কিনা এতো গুণ যে শেষে ডায়েটে রাখবেন? এবার আলু সেদ্ধ, তেঁতুল জল মেডিসিনের মতো রোগ সারাবে? লেবু, লঙ্কা, গোলমরিচেই হবে ম্যাজিক। ছিপছিপে রোগা…

কলকাতা: ফুচকার কিনা এতো গুণ যে শেষে ডায়েটে রাখবেন? এবার আলু সেদ্ধ, তেঁতুল জল মেডিসিনের মতো রোগ সারাবে? লেবু, লঙ্কা, গোলমরিচেই হবে ম্যাজিক।
ছিপছিপে রোগা হওয়ারও বড় কৌশল পানিপুরিতে।

এটা তো ঠিক শালপাতার ওই বাটিতে ফুচকার ফ্লেভারটাই আলাদা। উফ্। তখন ডায়েট ও গোল্লায় যায়। তারপর আপনি অপরাধবোধে ভোগেন। কিন্তু, ভুল। অনেকেই পানিপুরি বা ফুচকাকে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে না করলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুচকা খাওয়ার এক নয়, অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমাচ্ছেন তাদের জন্য ফুচকা দারুণ অপশন। কিন্তু, সেক্ষেত্রে যাঁদের শরীরে একটু ভারির দিকে তাঁরা বাড়িতে তৈরি ফুচকা স্ন্যাক্স হিসাবে খেতে পারেন। টক জল সমেত ফুচকা খেলে পরের কয়েক ঘণ্টা আর খিদে পায় না। ফলে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফুচকা আপনাকে সাহায্য করে। তবে আবারো বলছি। দুটো ব্যাপার খেয়াল রাখবেন। এক, ফুচকা যেন বাড়িতে তৈরি হয়। দুই, নিয়মিত শরীর চর্চা, হাঁটা, দৌড় বন্ধ করা যাবে না কোনওভাবেই।

কী বিশ্বাস হচ্ছে না ফুচকার এতো উপকারিতা? সাধেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফুচকাও রাখা যাবে ডায়েটে। দেখুন লজিক দিয়ে বুঝিয়ে বলছি। ফুচকার মধ্যে বেশিরভাগ জল থাকে। ফুচকা খাওয়ার অর্থই হল অনেকটা পরিমাণ জল খাওয়া। তেঁতুল গোলা ওই জল খেতে গিয়েই পেট ভরে যায়। যে যত বেশি ফুচকা খান না কেন, আদতে জল খেয়েই তাঁর পেট ভরে যাচ্ছে। আর জল আমাদের শরীরের জন্য সবদিক থেকে প্রয়োজন এবং উপকারী। তাছাড়া লেবু, লঙ্কা, গোলমরিচের মতো মশলা, সেগুলোর উপকারীতা। আবার অনেক চিকিৎসক বলেন, পানি পুরি খাওয়া মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেহেতু ফুচকায় ব্যবহৃত উপাদান পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, তাই সেসব মুখের মধ্যে উপস্থিত অপ্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

ফুচকাতে আরেকটা কাজ দারুন হয়। হ্যাঁ ডাক্তাররাও বলছেন তো, পানিপুরি হজমের জন্যেও খুব ভালো। আর? বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুচতার জলে যে মশলাগুলো থাকে তার মধ্যে কিন্তু জিরেও থাকে। সেটা ভুললে চলবে না। যা অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে।

আর এই যে ফুচকার এতো উপকরণ পুদিনা, কাঁচা আম, কালো লবণ, কালো মরিচ, ভাজা জিরা, সাধারণ লবণ, বিটনুন। এসব থেকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ফোলেট, জিংক, ভিটামিন এ, বি ৬, বি ১২, সি আর ভিটামিন ডি যে পাওয়া যায়। সেগুলোই বা যাবে কোথায়?

না এখানেই শেষ নয়। ফুচকা খেলে মুক্তি মেলে সর্দি-কাশি থেকেও। জেনে রাখুন, আপনার যদি সর্দি-কাশি-জ্বরের ধাত থাকে, তাতেও ফুচকা ওষুধের মতো কাজই করে। ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যার হাত থেকেই রেহাই দেয়। তাই, গ্রীষ্ম হোক বা শীত, কিংবা বৃষ্টি ভেজা বর্ষার বিকেল। এক প্লেট টক জল সমেত ফুচকা আপনি নিঃসন্দেহে চোখ বুজে খেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *