কলকাতা: ডেঙ্গি রোগীর ডায়েটটা জানেন তো? ডেঙ্গি হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকেই কিন্তু সিম্পটম গুলো দেখা দেয়! ব্রেকবোন সিন্ড্রোমে কিন্তু মারাত্মক যন্ত্রনার! ডেঙ্গি থেকে সেরে উঠলেই কি নিশ্চিন্ত? জয়েন্ট পেইনে কাঁদিয়ে ছাড়তে পারে!
সময়টা খারাপ, তাই কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে আপনি “ডেঙ্গি পজিটিভ” আগে সেটা বলবো। সাধারণভাবে ডেঙ্গির লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। কিন্তু ভুলেও সাধারণ জ্বরের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। দেখুন, অনেক সময় জ্বরের তাপমাত্রা খুব একটা বেশি নাও থাকতে পারে। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। সঙ্গে থাকে আরও কয়েকটা লক্ষণ। সেগুলোও বলবো, তার আগে জেনে রাখা দরকার চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেই শরীরে কিন্তু জলের ঘাটতি শুরু হয়। তাই এই সময় শরীরে জলের পর্যাপ্ত জোগানের উপর জোর দিতে হবে। মনে রাখবেন, ডেঙ্গিতে মৃত্যু হওয়ার অন্যতম কারণই হল ‘ডিহাইড্রেশন’। তাই রোগীর খাবারে যেন কোনও ভাবেই জলের অভাব না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সাধারণ জ্বরেও মাথা যন্ত্রণা হয়, কিন্তু হাড় ও পেশিতে তীব্র ব্যাথা, শরীরে ফুসকুড়ি, এমনকি ডায়রিয়া, বমি, নিউমোনিয়াও ডেঙ্গির লক্ষণ। জানবেন মাংসপেশী আর জয়েন্টে ব্যথায় জ্বর চলে আসে। তাই ডেঙ্গির নাম, “ব্রেকবোন ফিভার”।
তাই, এই বর্ষায় জ্বর হলে সচেতন থাকতে হবে! জ্বরে আক্রান্ত হলেই সাথে-সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে বারে-বারে জল ও জলীয় খাবার খেতে হবে। রোগীর ডায়েটে শরবত, ফলের রস, পাতলা ঝোল, ডালের জল, স্যুপ, দইয়ের ঘোল, লিকার চা মাস্ট।
আর হ্যাঁ, চিকেন বা পাঁঠার মাংসের মেটে, আয়রনে সমৃদ্ধ কিশমিশ, মাখানা, আখরোট, আমন্ডের মতো ড্রাইফ্রুট খেতে হবে নিয়মিত মানে ফোলেটে সমৃদ্ধ খাবার দাবার। প্রোটিনও খেতে হবে ভাল মাত্রায়। যেমন ছোট মাছের ঝোল, মুরগির স্টু, ডিম সেদ্ধ রোজ খেতে হবে।
তবে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না তাহলে বড় বিপদ হতে পারে।
আর, ডেঙ্গি সেরে গেলেও মোটেই হেলাফেলা নয়। ৩ মাস খুব সাবধান। জয়েন্ট পেইন বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত থেকে যেতে পারে, বলছেন চিকিৎসকরা। ভুলেও তেলেভাজা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটবন্দি খাবার, ফাস্টফুড, কফি নয়। বদহজম যেন না হয়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
আর এই সময়ে রক্তে প্লাজমা ও অণুচক্রিকা কমে যায়। তাই ডায়েটে বেশি করে মরসুমি ফল, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও শাক-সব্জি বেশি করে রাখতে হবে। বিশেষত রোগীর খাবারে।