অন্তর্বাসের কারণেই বর্ষায় দাদ, চুলকানি? আসল সত্যিটা জানুন

কলকাতা: বর্ষায় দাদ, চুলকানি!অন্তর্বাসের কারণেই এতো সমস্যা?এই ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কি করে?ত্বক সুরক্ষিত থাকবে জাস্ট কয়েকটা টিপসে। ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে জেনারেলি দাদ…

কলকাতা: বর্ষায় দাদ, চুলকানি!অন্তর্বাসের কারণেই এতো সমস্যা?এই ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কি করে?ত্বক সুরক্ষিত থাকবে জাস্ট কয়েকটা টিপসে।

ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে জেনারেলি দাদ হয়। সেই জায়গাটাই প্রচন্ড চুলকানি এবং যন্ত্রনা হয়। আর ওই স্থানের ত্বক মোটা হয়ে যায়। ছোঁয়াচে চর্মরোগ গোটা শরীরেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই দাদ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি যেটা করবেন, নিমপাতা বেটে দাদ এর ওপর লাগান। মনে রাখবেন নিমপাতা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। আরো একটা দুর্দান্ত টোটকা বলবো তবে তার আগে বর্ষাকালে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। যাদাত বা চুলকানি থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।

একটা খুব ইম্পোর্টেন্ট পয়েন্ট। অন্তর্বাস বাছার সময় সতর্ক হোন। আর, বর্ষায় কোনও ভাবেই স্যাঁতসেতে অন্তর্বাস বাছবেন না। এতে অন্তর্বাসের ভেজা দিক ত্বকের সংস্পর্শে এলে ঘর্ষণের ফলে ছত্রাকঘটিত নানা সমস্যা আনতে পারে। যা থেকে ত্বকে চুলকানি বা দাদ এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুই, বর্ষার সবথেকে বড় প্রবলেম। জামাকাপড় ভিজে যাওয়া। তাই এই সময় ব্যাগে শুকনো জামা রাখুন। গন্তব্যে গিয়ে তা বদলে ফেলতে পারলে খুবই ভালো হয়। ভিজে পোশাক গায়ে শুকোনো বা এসিতে শুকিয়ে নেওয়া একেবারেই ঠিক কাজ নয়। এতে শরীরের ছত্রাকঘটিত রোগ দেখা দিতে পারে। আর দাদ একটা ফাঙ্গাল ইনফেকশন। তাই যদি দাদ এর সিমটম দেখা দেয় তাহলে প্রথমেই সংক্রমণ রোধে দারুন কাজ করে যে নারকেল তেল সেটার ব্যবহার করুন। কারণ এতে থাকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এছাড়া নারকেল তেল ত্বকের চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া কমাতেও সাহায্য করে।

এগুলো তো সব দাদ হওয়ার পরে কি করবেন, সেটা বলছি। কিন্তু আগেই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। জুতো ভিজে গেলে ভেজা জুতো পায়ে সময় কাটাবেন না। সুযোগ থাকলে পা থেকে জুতো খুলে বসুন। এমনটা সম্ভব না হলে অন্তত মোজাটা বদলে পা ভাল করে মুছে নিন। কিংবা দ্রুত বাড়ি ফিরে ভাল করে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।

আর একটা কথা বর্ষায় গুমোট আবহাওয়া বা কড়া রোদের কারণে ভালই ঘাম হয়। তাই চেষ্টা করুন সুতির পোশাক বাছতে। সানস্ক্রিন, ছাতা এগুলো অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। এতকিছুর পরেও দাঁত চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। চোখে শুধু দেখার ভালো কোন আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত দাদ এর জায়গায় লাগান। এছাড়াও অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টিফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। দাদ থেকে নিস্তার মিলবে। এইজন্য হলুদ বাটা দাদ এর জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটা করলে দ্রুত সারবে দাদ।

লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট। দাদ ছাড়াতে রসুন ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। দুই কোয়া রসুন থেকে করে দাদ এর উপর লাগিয়ে দিন। আর তারপর কামাল দেখুন নিজের চোখেই।