চোখ ফুলে জল পড়ছে! ঠাণ্ডা না গরম সেঁক দিলে আরাম?

কলকাতা: বিভিন্ন কারণে চোখ ফুলতে পারে। চোখ ফুলে গেলে কেবল আই ড্রপ দিয়ে আরাম হয় না। তখন সেঁক দিলে অনেকটা ব্যথা কমে। এখন প্রশ্ন হল,…

Picsart 24 08 02 15 39 23 290

কলকাতা: বিভিন্ন কারণে চোখ ফুলতে পারে। চোখ ফুলে গেলে কেবল আই ড্রপ দিয়ে আরাম হয় না। তখন সেঁক দিলে অনেকটা ব্যথা কমে। এখন প্রশ্ন হল, ঠান্ডা সেঁক দেবেন নাকি গরম। দুই পদ্ধতিই ব্যথাবেদনা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু চোখের জন্য কোনটা উপকারী তা বুঝতে পারেন না অনেকেই।

দেখুন আপনার চোখ যদি দীর্ঘ দিন ধরে ফোলা ভাব থাকে অথবা ক্লান্তি, কম ঘুমের জন্য চোখ ফুলে গেলে তখন গরম সেঁকই ভাল। ধরুন, চোখের নীচে ফোলা মাংসপিণ্ড রয়েছে, খুব ব্যথা, তখন গরম সেঁক দিন। তাপ লাগলে সেখানকার রক্তনালির প্রসারণ হবে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। যদি রক্ত জমাট বেঁধে থাকে, তা হলে তা ছেড়ে যাবে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হলেই ফোলা ভাব কমে যাবে। ব্যথাও সেরে যাবে।

অনেক সময়ে চোখ চুলকালে বা চোখে আঘাত লাগলে প্রচণ্ড প্রদাহ হয়। তখন চোখ ফুলে ওঠে। তেমন হলেও গরম সেঁক খুব কাজে দেবে।

কিন্তু, জ্বর, সংক্রমণজনিত কারণে চোখ ফুলে ওঠা, অ্যালার্জি হলে তখন ঠান্ডা সেঁক কার্যকরী। পরিষ্কার সুতির কাপড়ে কয়েকটা বরফের টুকরো ভালো করে মুড়ে নিয়ে ফোলা জায়গায় দিতে হবে। ঠান্ডা সেঁক দিলে প্রথমে সেই জায়গার রক্তনালিগুলো সঙ্কুচিত হবে, তার পর ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে রক্ত চলাচল শুরু হবে। এতে ফোলা ভাব খুব দ্রুত মিলিয়ে যাবে। চোখের যন্ত্রণা, চুলকানিও কমে যাবে।

পোকামাকড়ের কামড়ে যদি চোখ ফুলে যায়, তাহলেও ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। আবার ধরুন চোখে যদি খুব বেশি জোরে আঘাত লাগে এবং চোখের নীচের অংশে কালশিটে পড়ে যায়, তখন গরম ও ঠান্ডা সেঁক মিলিয়ে দিতে হবে। প্রথমে ২০ সেকেন্ড গরম সেঁক দিয়ে তার পর ২০ সেকেন্ড ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে। তবে, মাথায় রাখবেন চোখের যে কোনও সমস্যাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।