৫ খাবার ছাড়লেই ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে! নজর দিন বিশেষ কয়েকটা বিষয়ে

কলকাতা: জাস্ট পাঁচটা জিনিস থেকে দূরে থাকলেই ডায়াবেটিস থাকবে কন্ট্রোলে। যে জিনিসগুলো খেলে তৃপ্তি আসে, সেগুলোতেই কিন্তু বিপদ! আপনার সুগার আছে? আজ থেকে শরীরের এই…

Picsart 24 07 30 01 43 49 302

কলকাতা: জাস্ট পাঁচটা জিনিস থেকে দূরে থাকলেই ডায়াবেটিস থাকবে কন্ট্রোলে। যে জিনিসগুলো খেলে তৃপ্তি আসে, সেগুলোতেই কিন্তু বিপদ! আপনার সুগার আছে? আজ থেকে শরীরের এই কয়েকটা বিষয়ে বিশেষ নজর দিন। কথায় বলে সুগার কোনো রোগ নয়। কিন্তু ১৯ একাধিক রোগ ডেকে আনে সুগার। জানা দরকার, ডায়াবেটিসের কারণে মূলত আমাদের চারটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেশি ক্ষতি হয়। হার্ট, চোখ, কিডনি, নার্ভ। ৪ টেই খুব ইম্পরট্যান্ট পার্ট আমাদের শরীরের। আর এই চারটে অঙ্গ ঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্যে প্রয়োজন ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সেক্ষেত্রে অনেকের প্রশ্ন হতে পারে মিষ্টি ছাড়া আর কি কি খেলে সুগার লেভেল বাড়তে পারে?

প্রথমেই বলবো পাঁঠার মাংস। দেখুন, এটা ফ্যাক্ট পাঁঠার মাংস খেতে অনেকেই খুব ভালোবাসেন। তাই সপ্তাহে একাধিকবার মটন খেয়েই করেন রসনাতৃপ্তি। এমনকী কিছু ডায়াবেটিস রোগীও নিয়মিত পাঁঠার মাংস খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের শরীরের হাল বিগড়ে যায়। সুগার বাড়ে তরতরিয়ে। আসলে মটন হল স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদানটা কোলেস্টেরলের পাশাপাশি সুগার বাড়ানোর কাজেও একাই একশো। তাই তো বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত পাঁঠার মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন।

এবার আসব সেই পয়েন্টে যখন কিনা মধুমেহ রোগীরা আলু খাচ্ছেন অনায়াসে। আলু একদম অ্যাভোয়েড করবেন। এর সঙ্গে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন। নিয়ম করে সুগার পরীক্ষা করা দরকার। প্রতি তিন মাসে এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষা করতে হবে। এই এইচবিএওয়ানসি’র মাত্রা ৭-এর নীচে রাখতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরলকে বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত হাঁটতে হবে, ধূমপান বন্ধ করতে হবে। বছরে অন্তত এক বার ইসিজি, রেটিনা পরীক্ষা করতে হবে। এর সঙ্গেই খেয়াল রাখতে হবে যে কিডনির কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা।

আরেকটা জিনিস থেকেও একদম কনসাসলি দূরে থাকতে হবে। নামেই বর্ষা। কিন্তু সকাল সন্ধ্যা ভ্যাপসা গরম। আর এমন আবহাওয়ার সুযোগ নিয়েই কিছু ডায়াবিটিস রোগী নিয়মিত কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে চলেছেন। ফলে বাড়ছে সুগার। তাই মধুমেহ রোগীরা ইম্মিডিয়েটলি বন্ধ করুন কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া। তার বদলে ডাবের জল, ওআরএস জল নিয়ম করে পান করুন। তাতেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল। বিভিন্ন অসুখ কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না।

আরো একটা মারাত্মক জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। নাম বলব তার আগে বিশেষজ্ঞদের একটা পরামর্শ মাথায় রাখুন। যাঁরা বহু দিন ধরে একই ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু উন্নত ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে পারেন। সেটা কার্যকরী হবে।

আর, হ্যাঁ ফাস্টফুড থেকেও সাবধান। ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার, পিৎজা জাস্ট চলবেনা। কারণ, যে কোনও ধরনের ফাস্টফুড শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষত, ডায়াবিটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের হাল খারাপ করে দিতে পারে এসব তেল, মশলা, নুন সমৃদ্ধ খাবার। বাজতে পারে পেটের বারোটাও। তাই সুগার রোগীরা ভুলেও ফাস্টফুড নয়। বদলে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খান। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

খাবেন না চিপস্ এর মতো প্রসেসড ফুড ও। এগুলো কিন্তু তেল, মসলা, নুনের ভান্ডার। যা বিভিন্নভাবে শরীরের ক্ষতি করে। এবং শুধু সুগার লেভেল বাড়ায় তাই নয়, বরং ডেকে আনে একাধিক রোগ।