Small Pox-এর চেয়েও বেশি সংক্রামক করোনার ডেল্টা প্রজাতি! উদ্বেগ রিপোর্টে

Small Pox-এর চেয়েও বেশি সংক্রামক করোনার ডেল্টা প্রজাতি! উদ্বেগ রিপোর্টে

51637ac58b843cd66d9ec8d0bdd1b708

নয়াদিল্লি: অনেক আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির জন্য বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ভারতে যে এই প্রজাতির জন্য তৃতীয় ঢেউ আসবে সেটার আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এককথায় দাবি করেছিলেন যে করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতিকে নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কার বিষয় রয়েছে। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রিপোর্ট এই প্রজাতিকে নিয়ে চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্র অর্থাৎ সিডিসি তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে যে, করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতি Small Pox-এর চেয়েও বেশি সংক্রামক! একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে এই প্রজাতি ভ্যাকসিনের শক্তিকে কাবু করতে সক্ষম।

সিডিসি বলছে, MERS, SARS, ইবোলা, সাধারণ সর্দি, সিজন বদলের ফ্লু এবং স্মলপক্সের ভাইরাসের চেয়ে বেশি সংক্রমণযোগ্য করোনার এই ডেল্টা প্রজাতি। আসলে এটি চিকেন পক্সের মত সমান সংক্রামক। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের সংক্রমণ হতেই পারে বলেও এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যদিও বলা হচ্ছে যে, টিকা প্রাপকদের বাড়াবাড়ি পর্যায়ে ক্ষতি হবে না। কিন্তু যারা টিকা নেননি তাদের ক্ষেত্রে এই প্রজাতি খুবই চিন্তার কারণ। সিডিসি আরও বলছে, টিকা প্রাপকদের থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেই পারে কিন্তু টিকা না নেওয়া মানুষের থেকে তার পরিমাণ কম হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রজাতি নিয়ে যে আগাম কিছু পদক্ষেপ দরকার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আমেরিকার এই সিডিসি রিপোর্ট। 

আরও পড়ুন- পর্ন-কাণ্ডে গ্রেফতার মডেল নন্দিতা ও সঙ্গী মৈনাককে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

এর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে, করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির সংক্রামক রূপ সবথেকে বেশি প্রবল। অর্থাৎ এর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি। তাই অবশ্য ভাবে এই প্রজাতি নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে তাদের। আরো চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার, ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ দেশে এই প্রজাতির অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানতে পেরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখানেই সব থেকে বড় উদ্বেগের ব্যাপার হলো বেশিরভাগ দেশে এই প্রজাতি আটকানোর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। যার ফলে আগামী দিনে আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে এই ডেল্টা প্রজাতি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *