কলকাতা: বিগত কয়েক দিন ধরে দেশের এবং রাজ্যের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার একই রকম যাচ্ছে। তবে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের হার কিঞ্চিৎ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে অথবা একই থাকছে। এই বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে যে যদি দেশের এবং রাজ্যের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে থাকে তাহলে মৃত্যু বাড়ছে কী করে। রহস্য মনে হলেও এটি আদতে রহস্য নয়। এই বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মহল।
বিগত কয়েকদিনের ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার দেখলে দেখা যাবে, মূলত সংক্রমণের সংখ্যা একই রকম রয়েছে বা কিঞ্চিৎ কমেছে। কিন্তু দৈনিক মৃত্যু দিন দিন বাড়ছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে সংক্রমণ কমতে যদি শুরু করে তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে কী করে। এই ইস্যুতে বৈজ্ঞানিক মহলের যুক্তি, দেশ এবং রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত কারা কারা হচ্ছেন সেটি একমাত্র জানা যাবে করোনা পরীক্ষা হলে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন অনেক জায়গাতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য অনেক আক্রান্তই। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ কম ধরা পড়ছে।
অন্যদিকে সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরীক্ষা করানোর পর রিপোর্ট ঠিক ঠাক আসছে না। তাই সংক্রমণের সংখ্যার সঠিক তথ্য মিলছে না। যদিও মৃত্যু হলে সেই তথ্য নথি ভুক্ত না করার কোন জায়গা নেই। মৃত্যু হলে সেই তথ্য রেকর্ডে রাখতেই হবে। দৈনিক সংক্রমণ কম দেখানোর চেষ্টা করা হলেও দৈনিক মৃত্যু নিয়ে ‘কারসাজি’ করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই দৈনিক সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু বাড়ছে। বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা আরও দাবি করছেন, করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি প্রাণঘাতী। সেই কারণে সংক্রমণ প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় কম হলেও তার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন চিকিৎসক মহলের একাংশের। বরং প্রথম ব্যাখ্যায় সম্মতি রয়েছে অনেকের।