মায়ের থেকেও ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা! করোনা নিয়ে নয়া শঙ্কা

মায়ের থেকেও ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা! করোনা নিয়ে নয়া শঙ্কা

770d4f731384553c16e939ed08aafcb5

নয়াদিল্লি: গত বছর থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যত দিন যাচ্ছে তত বেশি আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও সেই আতঙ্ক কিছুতেই কাটানো সম্ভব হচ্ছে না কারণ একের পর এক গবেষণায় করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। এতদিন ধরে অনুমান করা হচ্ছিল যে করোনাভাইরাস আবহে মায়ের কাছে সুরক্ষিত রয়েছে শিশুরা কিন্তু নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে মায়ের শরীর থেকেও শিশুদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। যা স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে সকলের।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাছের শিশুদের নিয়ে সকলের মোটামুটি একটাই প্রশ্ন ছিল যে গর্ভস্থ সন্তান কি নিরাপদ থাকবে, বা সদ্যোজাত শিশুরা? এবার ইন্ডিয়ান পেডিয়াট্রাইক্স জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে, মায়ের শরীর থেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। গর্ভাবস্থায় কিংবা জন্মানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের শরীর থেকে আক্রান্ত হতে পারে তারা। এক্ষেত্রে ভাইরাসের বাহক মা নিজে। এই প্রেক্ষিতে যদি শিশুরা আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় এবং সেটাই করোনাভাইরাসের উপসর্গ হয়ে ওঠে। যদিও গর্ভবতী অবস্থায় যারা করণা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে সেই কারণে চিকিৎসার একটা সময় পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ে পর্যবেক্ষণেই জোর দিতে বলছে চিকিৎসক মহল।

আরও পড়ুন- স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে যোগী রাজ্যে, আবেদন গুজরাত থেকেও

যদিও এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে যে, সদ্যোজাত সন্তানকে মায়ের থেকে দূরে রাখা যখন সম্ভব নয় তাহলে কি এক্ষেত্রে সেই শিশু পরবর্তী ক্ষেত্রে আরো বেশি সংকটে পড়তে পারে? এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে যে ভাইরাস আক্রান্ত মায়ের কাছে সদ্যোজাত শিশু থাকতেই পারে কারণ সেই সময় তাঁর একমাত্র খাবার মাতৃদুগ্ধ। এই কারণে মায়ের থেকে শিশুকে দূরে রাখা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু শিশুকে নিজের কাছে রাখতে গেলে প্রয়োজনীয় নিয়মবিধি মানতে হবে মাকে। মাস্ক পরা থেকে শুরু করে হাত স্যানিটাইজ, সবকিছু করতে হবে।

 

One Reply to “মায়ের থেকেও ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা! করোনা নিয়ে নয়া শঙ্কা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *