ঋতুস্রাবের জন্য মহিলাদের ১০ দিন ছুটি বরাদ্দ জ্যোমাটোর, প্রশংসার ঝড় নেটদুনিয়ায়

নয়াদিল্লি: প্রতি মাসে মহিলাদের কাছে কয়েকটি মারাত্মক দিন আসে। তা হল পিরিয়ডসের সময়। অনেকের এই সময় যন্ত্রণা হয় ক্ষীণ। অনেকের আবার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। মুড়ি-মুরকির মতো পেইন কিলার খেলে তবে আয়ত্তে আসে ব্যথা। কখনও আবার ওষুধও ব্যথার উপশম ঘটাতে পারে না। যন্ত্রণা সহ্য করেই যাবতীয় কাজ করতে হয়। অফিস যাওয়া থেকে বাড়ির কাজ, অনেক কিছুই করতে হয় মহিলাদের। যাতে মাসের এই দিনগুলোতে কষ্ট মহিলাদে কম পোহাতে হয় তাই জোমাটো সংস্থার মহিলা কর্মীদের জন্য ১০ দিনের ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নয়াদিল্লি: প্রতি মাসে মহিলাদের কাছে কয়েকটি মারাত্মক দিন আসে। তা হল পিরিয়ডসের সময়। অনেকের এই সময় যন্ত্রণা হয় ক্ষীণ। অনেকের আবার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। মুড়ি-মুরকির মতো পেইন কিলার খেলে তবে আয়ত্তে আসে ব্যথা। কখনও আবার ওষুধও ব্যথার উপশম ঘটাতে পারে না। যন্ত্রণা সহ্য করেই যাবতীয় কাজ করতে হয়। অফিস যাওয়া থেকে বাড়ির কাজ, অনেক কিছুই করতে হয় মহিলাদের। যাতে মাসের এই দিনগুলোতে কষ্ট মহিলাদে কম পোহাতে হয় তাই জোমাটো সংস্থার মহিলা কর্মীদের জন্য ১০ দিনের ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জ্যোমাটোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিক লিভ ছাড়াও পিরিয়ডের জন্য এই ছুটি নিতে পারবেন মহিলারা। তবে এই ছুটি প্রতি মাসে নয়। বছরে মেডিক্যাল লিভ ছাড়া ১০টি ছুটি নিতে পারবে তারা। এই ঘোষণার পর থেকেই প্রশংসিত হচ্ছে জ্যোমাটো। অনেকেই সংস্থার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। বিশেষত মহিলারা। বহু পুরুষও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। বলেছেন এই ছুটি সত্যিই মহিলাদের দরকার। তবে বিরূপ মন্তব্য করতেও ছাড়েননি অনেকে। তাদের মতে এই ছুটি নাকি দেওয়াই উচিত নয়। মহিলাদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। অনেকেই জানিয়েছেন মেডিক্যাল লিভ থাকা সত্ত্বেও কেন অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের? এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বলেছেন, পিরিয়ডসের সময় যদি মহিলারা মেডিক্যাল লিভ খরচ করে তবে অন্যান্য অসুস্থতার ক্ষেত্রে তাঁরা কোথা থেকে ছুটি পাবেন?

এই প্রসঙ্গে জোমাটোর চিফ এক্সিকিউটিভ দীপেন্দর গয়াল জানিয়েছে, “ঋতুস্রাবের সময় ছুটি নেওয়ার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। বরং এটা জরুরি।” অনেক চিকিৎসকও একে সমর্থন করেছেন। কামনা কক্কর নামে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন “মিস ABCDর সঙ্গে আলাপ করুন। ঋতুস্রাবের সময় তাঁর ভয়ানক ব্যথা হয়। ক্যান্ডির মতো তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খান। আমরা তাঁকে কাঁদতে দেখেছিলাম। কারণ হঠাৎ করে ছুটি চাওয়ায় তাঁকে অ্যাটেনশন সিকার তকমা দেওয়া হয়েছিল।” এই ঘটনা হামেশাই ঘটে। তবে শুধু ছুটি পেলেই হবে না। এর এই বিষয়টি এখনও আমাদের সমাজে ট্যাবু। সেটি ভাঙতে হবে। প্রয়োজনে আলোচনা করতে হবে। তবেই এই সমস্যা মিটবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 5 =