নয়াদিল্লি: এর আগে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সক্রিয় থাকতে পারে না। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফিলিপিনস তাদের টুইট হ্যান্ডেলে সেই কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। এবার তরুণদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)। করোনার প্রভাব থেকে নিস্তার পাবেন না তরুণরাও। তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
দু'দিন আগেই চীনের তরফে জানানো হয়েছিল, সেখানে নতুন করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই। যে উহান শহর 'মহামারি'র আকার নিয়েছিল, সেখানে যে আক্রান্তের খবর নেই, সে কথা জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও। চীনের সক্রিয়তা বিশ্ববাসীর মনে কিছুটা স্বস্তি আনলেও সংস্থার তরফে সম্প্রতি যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা পুনরায় উদ্বেগ তৈরি করেছে। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়েসাস সাফ জানিয়েছেন, যুবসম্প্রদায় করোনা থেকে পার পাবে না। এদিন তিনি বলেন, 'আমার কাছে তরুণদের জন্য একটাই কথা বলার, এই ভাইরাসটি (কোভিড ১৯) আপনাদের কয়েক সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারে, এমনকী, মৃত্যুও ঘটাতে পারে।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'আপনি যদি অসুস্থ নাও হন, তবুও আপনার যাতায়াত, যোগাযোগ অন্য কারও ক্ষেত্রে জীবন ও মৃত্যুর ব্যবধান হয়ে উঠতে পারে।' এছাড়াও হু-এর তরফে মাইকেল রিয়ান একটি পরিসংখ্যানেও ৭০ বছরের কম বয়সীদের আশঙ্কার কথা বলেছেন।
শীত কেটে গরম বাড়তেই রাজ্যের মানুষ ভেবেছিলেন, করোনা থেকে বোধহয় অব্যাহতি মিলবে অবশেষে। উষ্ণতার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। সেই গুজব একেবারেই উড়িয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফিলিপিন্স। গত মাসে একটি টুইট সেই কথাই বলছে। টুইটটিতে প্রশ্নোত্তরে বলা হয় সেই কথা। প্রশ্নে বলা হয়েছিল, করোনা ভাইরাস কি গরম বা আর্দ্র আবহাওয়ায় বাঁচতে পারে? তার উত্তরে তাদের তরফে বলা হয়েছে, হ্যাঁ, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায়ও ছড়াতে পারে করোনা। এমনকী, শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়াতেও যে করোনা সক্রিয়, সেই কথাও জানিয়েছে তারা। তাদের কথায়, আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন, করোনা ভাইরাস রুখতে আমাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।