কলকাতা: দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শেষ। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই দ্বিতীয় দফার ভোটে জয় নিয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন সাংবাদিকদের সামনে ‘ভিকট্রি’ সাইনও দেখিয়ে দিয়েছেন। মুখে আত্মবিশ্বাসের হাসি ফুটেছে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু শনিবার বিজেপির শীর্ষস্তরের ৩ নেতার গোপন বৈঠকের খবর ফাঁস করে বিস্ফোরক দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা জানালেন, “মুখে যাই বলুক, বিজেপি নেতারা বুঝতে পেরেছে প্রথম দুই দফায় নিরাশজনক ফল করেছে বিজেপি।”
শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে জোড়াফুল শিবির। এদিন দলের তরফে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ও রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। যশবন্ত সিনহা এদিন বললেন, “আজ সকালে আমার কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছে, কাল দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষস্তরের তিন নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। বৈঠকে প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। তবে বাংলা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে তিনজনের মধ্যে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের শেষে সমীক্ষা করে তারা বুঝতে পেরেছেন এই দুই দফায় তাদের ফলাফল খুবই নিরাশাজনক। তাদের যা আশা ছিল তা সবই এই প্রথম দুই দফা নিয়ে। কারণ তারা জানে পরের ছয় দফায় তারা খুব বেশি কিছু করতে পারবে না। তাই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মানুষের সঙ্গে যে ‘মাইন্ডগেম’ বিজেপি খেলছে তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, মিথ্যা বলার বহর আরও বাড়ানো হবে।”
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “গত কয়েকদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য কোনও কেন্দ্রে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার যে মিথ্যা প্রচার বিজেপি করছে তা নিতান্তই ভুল।আমরা বারবার বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কোনও কেন্দ্র থেকে লড়বেন না। তবুও ওরা এধরনের মিথ্যা প্রচার করছে। মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য এটা বিজেপির স্ট্র্যাটেজি। এই ধরনের মিথ্যা প্রচার বিজেপি আরও করবে।” মানুষকে সাবধান হওয়ার কথা জানিয়ে যশবন্ত সিনহা বললেন,”অসমে আমরা দেখেছি কিভাবে একটা ইভিএম নিয়ে দুর্নীতি করেছে বিজেপি। আসলে যেখানেই ওরা বুঝতে পারছে হারছে, সেখানেই এই ধরনের জোচ্চুরি করছে। সত্যিকারের মানুষের ভোট পড়েছে যে ইভিএম মেশিনে, তার সঙ্গে অন্য ইভিএম মেশিনের অদলবদল করে দিচ্ছে। যার মধ্যে আগে থেকেই বিজেপির ভোট দেওয়া রয়েছে। আমাদের মনে হয়, এই জোচ্চুরি আরও বিশাল মাত্রায় হবে অসমে এবং বাংলায়। তাই মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”