মাসে ৩ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাবে কেন্দ্র, কীভাবে মিলবে সুবিধা?

অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্যে গত আর্থিক বছরে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’ শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর ফলে এই পেনশন প্রকল্পের আওতায় থাকা কর্মীরা ৬০ বছর পর প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন।

 

নয়াদিল্লি: অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্যে গত আর্থিক বছরে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’ শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর ফলে এই পেনশন প্রকল্পের আওতায় থাকা কর্মীরা ৬০ বছর পর প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন।

‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’ পেনশন প্রকল্পটি আসলে একটি স্বেচ্ছাকৃত পেনশন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ ঠিক করা হয়। অর্থাৎ এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের ৫০ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাকে কাজ করার সময় দিয়ে যেতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ অর্থ ভর্তুকি হিসাবে দেবে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে ওই উপভোক্তার বয়স ৬০ পেরোলেই ন্যূনতম মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন। যদি তার আগেই ওই উপভোক্তার মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে তার পরিবারকে মাসিক পেনশন দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন একমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মিরাই। পাশাপাশি উপভোক্তার মাসিক বেতন হতে হবে ১৫ হাজার টাকা বা তার কম। উপভোক্তার বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে থাকা আবশ্যক, পাশাপাশি আয়করের আওতায় থাকলে চলবে না। এছাড়া এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে জাতীয় পেনশন প্রকল্প, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প বা এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্প স্কিমের মতো কোনও প্রকল্পের আওতায় থাকতে পারবেন না।

এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্যে উপভোক্তাদের নিজেদের নিকটবর্তী  ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এ যেতে হবে। সেক্ষেত্রে ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এর তালিকা এলআইসিতে পাওয়া যাবে। এরপর পেনশন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি সেভিংস বা জনধন অ্যাকাউন্ট এবং আধার কার্ড থাকা বাঞ্ছ্যনীয়। দেশের তিন লাখের বেশি ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এ সেই পরিষেবা প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

এই প্রকল্পের আওতায় ১৮ বছরে কোনও কর্মী যদি যুূক্ত হন, তাহলে তাঁকে মাসিক ৫৫ টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি সম পরিমাণ অর্থ দেবে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অর্থের পরিমাণ বাড়বে। প্রথমবার নগদে টাকা জমা দিতে হবে, যার একটি রসিদ দেওয়া হবে উপভোক্তাদের। প্রত্যেক উপভোক্তাকে একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হবে।

প্রকল্পের আওতায় আসার ১০ বছরের কম সময়ে যদি উপভোক্তা তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান সেক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ সহ তাঁর প্রদেয় অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে যদি কোনও উপভোক্তা ১০ বছর পর এবং ৬০ বছর হওয়ার আগে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান, সেক্ষেত্রে তাঁর প্রদেয় অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং একই সঙ্গে যে পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে, তার সুদ ও সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের মধ্যে যেটি বেশি হবে তা দিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + nineteen =