বোলপুর: সোমবার ফের শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠ ঘেরার কাজ ফের শুরু হল৷ আদালতগঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে এই কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। যেখানে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আড়াই ফুট উঁচু পাঁচিলের ওপরে পাঁচ ফুট উঁচু তারকাটার বেড়া লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ৪ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এই কাজ শেষ হতে।
রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের ৪ সদস্যের কমিটি আরও একবার শান্তিনিকেতন সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে ওই সদস্যরা বিশ্বভারতীর ছাত্র, আশ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারপরেই কমিটির পক্ষ থেকে মেলার মাঠ ঘেরার কাজ দ্রুত শুরু করার কথা বলা হয়। সেই মতোই আজ, সোমবার থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে গেল।
এদিন বিশ্বভারতী তরফে বলা হয়েছে, পৌষ মেলার মাঠ ঘেরার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সমগ্র মাঠে মোট ৮টি দরজা থাকবে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই মাঠের চারিপাশে ৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে পুলিশের তরফে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন পর কাজের অগ্রগতি দেখতে ফের একবার শান্তিনিকেতন সফরে যাবেন কলকাতা হাইকোর্টের চার সদস্যের কমিটি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ আগস্ট বিশ্বভারতীর পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে একশোরও বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেন। বিশ্বভারতীর গেট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যপক নির্মাণসামগ্রী লুঠও করেন বিক্ষোভকারীরা। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মেলার মাঠ ঘেরার কাজ করছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর তীব্র বিরোধীতা করে রাজ্যের শাসক দল তরফে বলা হয়, এই কাজ আবেগ বিরোধী। পাশাপাশি বলা হয়, এই পাঁচিল ঘিরলে রাবেন্দ্রিক ঐতিহ্য আঘাত পাবে। কিন্তু তৃণমূলের এই বিরোধীতার আড়ালে প্রোমোটারির উদ্দেশ্যকে চিহ্নিত করে বিজেপি। বিজেপির তরফে বলা হয়, আসলে মাঠ দখল করে ভবিষ্যতে প্রোমোটারি করে বিল্ডিং খাড়া করবে বলেই মাঠ ঘেরার কাজ বন্ধ করতে চাইছে তৃণমূল। -ফাইল ছবি৷