‘অধিকার ত্যাগ সম্ভব নয়’, পথে নেমে প্রতিবাদ আফগান মহিলাদের

‘অধিকার ত্যাগ সম্ভব নয়’, পথে নেমে প্রতিবাদ আফগান মহিলাদের

03f0f0bc4f436747a52e6e3dab6b2375

কাবুল: তালিবানি রাজত্বে আতঙ্কে মহিলারা। গঠতি হচ্ছে নতুন সরকার৷ এই আলোচনা পর্বে সরকারি, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মহিলাদের বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করতে হবে৷ মানবাধিকার কর্মী সহ বহু মহিলার দাবি, তাঁরা গত দই দশক ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে৷ ফলে এখান থেকে তাঁরা ফিরে যেতে পারবে না৷ 

আরও পড়ুন- বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে বন্দুকবাজরা! তালিবানি ত্রাসে ত্রস্ত বিরোধীরা

ক্ষমতা দখল করার পরেই তালিবানের মুখে শোনা গিয়েছিল ভিন্ন সুর৷ তালিবান নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিল ইসলাম অনুযায়ী মেয়েরা পড়াশোনা করার, চাকরি করার অনুমতি পাবে৷ রবিবার কাবুল দখলের পর বুধবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, ‘‘মহিলাদের, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মের অধিকার আছে৷ এবং তাঁরে সরিয়া আইনে এই সমস্ত অধিকার পাবেন৷ ইসলাম মেনে মেয়েদের তাঁদের অধিকার দেবে তালিবান৷ হেলথ সেক্টর সহ অন্যান্য সেক্টরেও কাজ করতে পারবেন তাঁরা৷ নারীদের প্রতি কোনও বৈষম্য করা হবে না৷’’ কিন্তু বাস্তবটা সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ একাধিক মহিলা সাংবাদিকদের দাবি, তাঁদের কাজ করতে দিচ্ছে না তালিবান৷ 

কয়েক দিন আগেও আরটিএ টিভির অ্যাঙ্কার ছিলেন ছিলেন শবনম খান দওরান৷ তালিবান গোটা দেশ দখল করার ঠিক পরের দিনই অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, আর কাজ নেই তাঁর৷ বলা হয়েছিল, ‘‘তুমি মেয়ে৷ এবার নিজের বাড়ি ফিরে যাও৷’’ পুরুষ সহকর্মীরা অফিসে ঢুকতে পারলেও, পা রাখার অধিকার হারিয়েছিলেন তিনি৷ ঠিক একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন সাংবাদিক খাদিজা৷ তালিবান ক্ষমতায় আসার পর একই ভাবে অফিসে ঢুকে পারেননি তিনি৷ খাদিজা জানান, তালিবানরা নাকি জানিয়েছে খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা তালাবানের নিযুক্ত নতুন ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছিলাম৷ উনি বলেন, কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে৷ তাঁরা তাঁদের কাঙ্খিত সংবাদ প্রচার করবেন৷ সেখানে মহিলা সাংবাদিক বা অ্যাঙ্কারের প্রয়োজন নেই৷ 

আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাস তালিবানি হানা, নথি-গাড়ি নিয়ে গেল জঙ্গিরা

তবে তাঁরাও পিছু হঠার পাত্রী নন৷ নিজেদের দাবিতে লড়াই শুরু করেছেন৷ মহিলা মানবাধিকার কর্মী রহিমা রাদমানেশ বলেন, ‘‘সরকার ও সরকারি কর্মীরা মহিলাদের উপেক্ষা করতে পারবে না৷’’ আবার সমাজকর্মী সুক্রিয়া মশাল বলেন, ‘‘আমরা ২০ বছর ধরে কাজ করছি৷ ফিরে যেতে পারব না৷’’  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *