কেন্দ্রাপাড়া: মোদির আচ্ছে দিন অধরাই৷ আজও পণের দাবিতে অত্যাচার অবাহত৷ পণের দাবিতে এক মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে৷ সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করা হয়েছে। কদর্য এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই বাড়ি ছেড়ে অভিযুক্তরা পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন পুরুষ মিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়া এক মহিলাকে মারধর করছেন। মহিলাটির শরীর একখণ্ড কাপড় দিয়ে ঢাকা, যা দেখে বোঝা যাচ্ছে আগেই তাঁকে নগ্ন করা হয়েছিল। অন্য এক মহিলা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রাপাড়ার কোরুক গ্রামের বছর চব্বিশের ওই বধূর ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করলে প্রতিবেশীরা বাধা দিতে যান। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন কারও কথাই কর্ণপাত করেননি। প্রতিবেশীরাই খবর দেয় ওই মহিলার বাপের বাড়িতে। মহিলার কাকা ভাইঝির শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শেষ পর্যন্ত ওই মহিলাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমেই নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়৷ তবে নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়িতে পুলিশ পৌঁছে দেখে সেখানে কোউ নেই, সবাই পালিয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা বোঝার চেষ্টা করে পুলিশ। ওড়িশা পুলিশ এই মামলায় একটি বিশেষ দল গঠন করে অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা এখনও পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি। তবে পুলিশ ভিডিও-সহ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছে। নিকিরাই থানার ইনস্পেক্টর কাবুলি বারিক জানিয়েছেন, কয়েকজন প্রতিবেশী এই কাণ্ড দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু বধূটির শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে পাত্তাও দেয়নি। গোটা ঘটনা ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে কেন্দ্রাপাড়ার কোরুক গ্রামে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে প্রতিবেশীরা৷