নয়াদিল্লি: সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কায় বেসামাল গোটা দেশ৷ আরও বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা৷ নতুন রেকর্ড গড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন৷ এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৪৷ অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯১৫ জনের৷ এর উপর চিকিৎসা সামগ্রীর আকাল হাসপাতালগুলির উদ্বেগ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে৷
আরও পড়ুন- আবার হতে পারে লকডাউন! চিন্তা-ভাবনা চালাচ্ছে কেন্দ্র
এই নিয়ে পরপর দু’দিন দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল৷ গত সপ্তাহে সারা বিশ্বের মধ্যে সংক্রমণের রেকর্ড গড়েছিল ভারত৷ ১ মার্চ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ হাজার ৫১০ জন৷ কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের উপরে৷ চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে৷ কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল এবং রাজস্থান৷ ১০ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন থাকবে রাজস্থানে৷ পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও করোনা মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ বাংলাজুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন৷
আরও পড়ুন- মুসলিম এলাকায় চূড়ান্ত ব্যর্থতা, সংখ্যালঘু সেল বন্ধ করে দিল বিজেপি
সংক্রমণের জোয়ার রুখতে ১৮ উর্ধ্ব সকল নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ১ মে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকাকরণ কর্মসূচিতে কোনও ঢিলেমি চলবে না৷ লকডাউন সত্ত্বেও নাগরিকদের টিকা দিতে হবে৷ টিকা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়৷ এদিকে দিল্লিতে যাতে সরকারের চাহিদা মতো প্রতিদিন ৭০০ টন অক্সিজেন পাঠানো হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ পাশাপাশি মুম্বই তথা গোটা মহারাষ্ট্রে টিকাকরণের উপর জোড় দেওয়া হয়েছে৷