loadshedding
নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়ি: সিকিমের লোনক হ্রদ ফেটে হড়পা বান এসেছে তিস্তা নদীতে৷ প্লাবিত নদীর দু’কুল৷ তলিয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি৷ তিস্তার জলে ডুবেছে জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ৷ জলের ধাক্কায় ধুয়ে মুছে সাফ রাজ্যের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প৷ অন্ধকারে ডুবেছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। প্রকৃতির এই তাণ্ডবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গেও৷ মঙ্গলবার রাতের হড়পা বানে তলিয়ে গিয়েছে তিস্তার উপর গড়ে ওঠা একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প৷ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্টেশন। সিকিম ও বাংলা মিলিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাতটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সিংহভাগ৷ স্বাভাবিকভাবেই বিঘ্নিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বন্ধ সরবরাহ। যার জেরে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। চাপ বাড়তে শুরু করেছে বাংলার প্রকল্পগুলির উপরে। যার একাংশ আবার বন্ধ। এরই মধ্যেই রাজ্যের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আপৎকালীন সাহায্য চেয়েছে সিকিম সরকার। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সিকিমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে, স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে উত্তরবঙ্গকে। তেমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। (loadshedding)
জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবার আগে বাঁধে জল ধরে রাখতে হয়। কিন্তু যে ভাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সিকিমের চুংথাংয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিস্তা থ্রি কেন্দ্রটি৷ কিন্রতু তার একাংশ নিশ্চিহ্ন। গোটা পাওয়ার হাউসটাই জলের তলায়। মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক জলের চাপে ১০ মিনিটের মধ্যেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়। চাপ সামলাতে না পেরে খুলে দেওয়া হয় সিংতাম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের গেট৷ একই হাল হয়েছে সেভক থেকে সিকিমে যাওয়ার পথে তিস্তার উপর গড়ে ওঠা কালিঝোরা, রাম্বি ও রংপো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের। ফলে কমতে শুরু করেছে যোগান৷ অন্ধকার নামার আশঙ্কায় ভুগছে উত্তরবঙ্গ৷