নিজস্ব প্রতিনিধি: বামের ভোট এবার রামে যাবে না। এমন প্রেক্ষাপট রাজ্য রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ নিশ্চিত।
গত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোটের বড় অংশ বিজেপির দিকে চলে যাওয়ায় তারাই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে যায়।
কিন্তু এই লোকসভা নির্বাচনে সেই প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মুখেও এ কথা শোনা গিয়েছে। তিনিও মনে করছেন আগের বারের থেকে এবার বামেদের ভোট বাড়বে।
সেই সঙ্গে দমদম, যাদবপুর-সহ একাধিক লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে বলেও তিনি মনে করছেন।
আর সিপিএম তথা বামেদের ভোট যদি সত্যিই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে তাহলে তারা কাদের ভোট কাটবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষই।
রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন হিন্দু ভোটের একটা অংশ, যা দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের পাশে ছিল, মূলত সেখান থেকেই ভোটের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ফিরে আসবে।
সেক্ষেত্রে ক্ষতি হবে যে বিজেপির তা স্পষ্ট। আবার অন্য মতও রয়েছে। বিজেপি নিশ্চয়ই তীতে হিন্দু ভোটের সমস্তটা পায়নি বা আগামী দিনে পাবেও না।
ভাই সিপিএম তথা বামেদের ভোট বাড়ে, আর যদি সেটা হিন্দুদের থেকে আসে, তাহলে তাঁরা আগে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, নাকি বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, সেই বিশ্লেষণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দুটি দলের প্রার্থীরাই।
এদিকে এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে টাকা বাড়ানো। সেই প্রকল্পের টাকা আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে।
যা নিশ্চিতভাবে ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। তাই তৃণমূলের ভোট ভেঙে তার একটা অংশ সিপিএমের দিকে আসবে এটা সম্ভব নয় বলে শাসক দল মনে করে।
শাসক দল মনে করছে বিজেপির ভোট থেকেই একাংশ ভেঙে সিপিএমের দিকে যাবে। সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা অব্যাহত। যা অনেকটাই স্পষ্ট হবে ৪ জুন ফল প্রকাশের দিনেই।