chandrayaan 3
কলকাতা: রাত পেরিয়ে দিন এসেছে চাঁদে৷ সূর্যের তাপ লেগেছে চন্দ্রযান ৩-এর গায়ে৷ আশা ছিল, ফের হয়তো ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের জন্য সঞ্জীবনী নিয়ে আসবে সূর্য৷ কিন্তু অনেকটা সময় অতিবাহিত৷ এখনও সাড়া মিলল না চন্দ্রযান ৩-এর। এখনও বিক্রম আর রোভারের জেগে ওঠার অপেক্ষায় ছিল ইসরো। তবে সেই আশা এখন অনেকটাই ক্ষীণ৷ তবে কি আর সেকেন্ড ইনিংস খেলা হল না বিক্রম-রোভারের?
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানাচ্ছে, চন্দ্রযান ৩-এর সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ল্যান্ডার বিক্রম আর রোভার প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার কাজে কোনও ত্রুটি রাখতে চান না এস সোমনাথ এবং টিম। তবে গবেষকদের অধিকাংশেরই ধারণা, চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-এর নবজীবন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ৷ ওদের জেগে ওঠাটা স্বপ্নই থেকে যাবে।
চাঁদের মাটিতে মাত্র একদিনের জন্য কাজে নেমেছিল চন্দ্রযান ৩। চাঁদের একদিনই পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। সেই সময়কাল অতিবাহিত৷ চাঁদে ফের ফুটেছে দিনের আলো৷ কিন্তু, সাড়া নেই ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের। চাঁদে রাত নামলে প্রবল ঠাণ্ডাও পড়ে৷ কার্যত সেই হিমঘর থেকে চন্দ্রযান ৩-এর বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে৷ এই প্রবল ঠাণ্ডা মোকাবিসার জন্য প্রস্তুত নয় চন্দ্রযানের যন্ত্রপাতিগুলিও৷ গত ১৪ দিনে চাঁদে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২০০ ডিগ্রি৷ পৌঁছয়নি একফোঁটাও সূর্যের আলো৷ ফলে এই হাড়কাঁপুনি ঠাণ্ডা এবং নিকশ কালো অন্ধকারে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযানের দুই সৈনিকের বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব।