dilip
নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতবারের জেতা আসন মেদিনীপুর নয়, এবার তাঁকে লড়তে হবে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। যদিও দিলীপ ফের মেদিনীপুর থেকেই দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নির্দেশে তিনি মেদিনীপুর ছাড়লেন। নিঃসন্দেহে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের লড়াইটা জমে গেল। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কীর্তি আজাদ। ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের সঙ্গে দিলীপের মূল লড়াই। এর আগে দুটি ভিন্ন জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে জিতে এসেছেন দিলীপ। তাই কেন্দ্র বদল হলেও তা নিয়ে চিন্তিত নন দিলীপ।
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে দূরবিন দিয়েও বোধহয় খুঁজে পাওয়া যেত না। রাজ্য রাজনীতির আলোচনায় বিজেপিকে তখন কার্যত খুঁজে পাওয়া যেত না। সেই বছরের বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ খড়্গপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসেন। হারিয়ে দেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জ্ঞানসিং সোহনপালকে (চাচা)। সেই প্রথম পরিষদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় দিলীপের। এর তিন বছর পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে। এবারেও জিতলেন তিনি। হারিয়ে দেন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে। তাই রবিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দিলীপকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছে তিনি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি, এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে জিতেও আসবেন। দিলীপের কথায়, গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বলতে তেমন কিছু ছিল না। তাও তিনি জিতে এসেছিলেন। আর এবার বিজেপির পক্ষে প্রবল হাওয়া রয়েছে। তাই তাঁর জিততে অসুবিধা হবে না বলেই দিলীপ মনে করছেন।
রাজ্য রাজনীতিতে বরাবরই দিলীপ এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। নাম না করে নিজের দলের একাংশকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না তিনি। সবসময় নিজস্ব ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখেন, ফুৎকারে উড়িয়ে দেন বিরোধীদের। আর দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিতে দেখা যায় তাঁকে। আবার শাসক বিরোধী নির্বিশেষে সৌজন্যের রাজনীতিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সুসম্পর্ক বজায় রাখেন বিরোধীদের সঙ্গে। সবমিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষের একটা ‘ব্র্যান্ড ইমেজ’ তৈরি হয়েছে। তাঁর হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে আজ সাবালক হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নতুন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দিলীপ শেষ হাসি হাসতে পারেন কিনা এখন সেটাই দেখার।