কলকাতা: কেন প্রার্থী তালিকায় থাকছেন না রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ? সাংসদরা প্রার্থী হচ্ছেন। এমনকি মুকুল রায় পর্যন্ত প্রার্থী হতে পারেন – তা শোনা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন রাজ্য সভাপতিকে ভোটের ময়দানে নিয়ে আসছে না বিজেপি। যে কারণটি সব থেকে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হল – দিলীপবাবুকে প্রচারের কাজে বেশি করে লাগাতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। কোনও বিতর্ক নেই যে রাজ্যের সব থেকে জনপ্রিয় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় বিজেপি জনতা।
কিন্তু, এই মুহূর্তে বিজেপি নেতাদের মধ্যে সব থেকে আকর্ষিক বক্তব্য রাখতে পারেন দিলীপবাবু। রাজ্যে বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় মুখকে কোনও একটি আসনে কুক্ষিগত করতে চান না বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বদলে তিন গুণ পরশ্রম করতে হচ্ছে রাজ্য সভাপতিকে। সকলেই চাইছেন তার বিধানসভা কেন্দ্রে এসে প্রচার করুন দিলীপবাবু। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ – জঙ্গলমহল থেকে পাহাড়ে প্রচার চালাবেন দিলীপ ঘোষ। কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হলে থাকলে তিনি তা পারতেন না।
এছাড়া অন্য একটি কারণও উঠে এসেছে। সম্প্রতি কিছু জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দিলীপ ঘোষের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় উঠে এসেছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে মমতা এগিয়ে থাকলেও দিলীপবাবু তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলতে পেরেছেন। বিজেপির মুখ হিসাবে রাজ্য জুড়ে দিলীপবাবুর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি।
কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন – পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গড়ছেই। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাঙালি। এই বাংলায় জন্মেছেন। বাংলায় কথা বলেন। তার পর থেকেই আর অনেকের বিশেষ সন্দেহ নেই। কারণ দার্জিলিং থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছুটে বেড়ান দিলীপ ঘোষ। অকৃতদার এই বিজেপি কর্মী শুধুই রাজ্যের সভাপতি নন – গেরুয়া শিবিরের জনপ্রিয়তম মুখ। এক সময়কার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের অন্যতম সদস্য এখনও সঙ্ঘের চোখে প্রিয় ছাত্র। গত পাঁচ-ছ’বছরে বিজেপি যদি নিজের ক্ষমতায় কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কে এই বঙ্গে জনপ্রিয় করে থাকে – তিনি হলেন দিলীপ ঘোষ। তার রাজনৈতিক মেধা, ব্যক্তিত্ব বা বিতর্কিত ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে, কিন্তু আম-জনতার মনে তার জনপ্রিয়তা কে মান্যতা দিয়েছ স্বয়ং দিল্লির পার্টি নেতৃত্ব।