৩০ লক্ষ পড়ুয়ার সুরক্ষা দায় নেবে কে? কেন্দ্রকে তোপ পার্থর, রাজ্যপালকে কটাক্ষ

করোনা পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই নিট ও জেইই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। শনিবার এ নিয়ে ফের সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে অবিলম্বে পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।

 

কলকাতা: ছাত্রদের সুরক্ষা নিয়ে নিজেদের অবস্থানে স্থির করেছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই নিট ও জেইই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। শনিবার এ নিয়ে ফের সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে অবিলম্বে পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।

গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নিট ও জেইই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বলেছেন, করোনা মহামারীর এই ভয়ানক মুহূর্তে ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি না করে তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবাটা জরুরি। পাশাপাশি ড.‌ রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ককে উদ্দেশ্য করে শনিবার পার্থ তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘দেশজুড়ে অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যে যে ৩০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী নিট ও জেইই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে, তাদের নিরাপত্তার ভার কি আপনি নিতে পারবেন? দেশের‌ পরিবহণ ব্যবস্থা যখন এখনও ঠিক করে চালু হয়নি, তবুও আপনি কেন ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে মেতে উঠছেন?‌ অবিলম্বে পরীক্ষা স্থগিত করা হোক!”

অন্যদিকে, শুক্রবার ভার্চুয়াল সভা থেকে পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পরীক্ষা নেওয়ার কথা কোনও ভাবেই মেনে নেবে না রাজ্য৷ পাশাপাশি এই সভায় লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়ায় কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাল্টা জবাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর শনিবার বলেন, ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কেন্দ্র নয়, বরং রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার৷

এরপর তৃণমূলের মুখপাত্র তথা সাংসদ সৌগত রায় রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেন, 'রাজ্যপাল আসলে প্রচারে থাকতে খুব ভালবাসেন। মিডিয়ায় রোজ তাঁর মন্তব্য প্রকাশ করবে,  এমনটাই চান তিনি।' সৌগত আরও বলেন, 'শিক্ষা নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই ওঁর, ওকালতি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভাবলেও রাজ্যপাল তাঁকে অপদস্থ করতে ছাড়েছেন না। এর পিছনে যে বিজেপি নেতাদের পরামর্শ আছে, তা স্পষ্ট। আমরা নুরুল হাসান, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো রাজ্যপালদের পেয়েছি, কিন্তু ওঁর মতো রাজ্যপাল এর আগে বাংলায় আসেননি। মুখ্যমন্ত্রী সেপ্টেম্বরের পরীক্ষা পিছিয়ে অক্টোবরে করার  কথা বলেছেন, সেক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীকে এই বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্যপাল রাজনীতি পেলেন কোথায়! আসলে সব কিছুই নিজেকে প্রচারের জন্য।'

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − three =