নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের আগে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এমনকী, তাদের তরফে এই মারণরোগকে বিশ্বের জন্য 'হুমকি'ও বলা হয়েছে। ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোয় ভুগছে করোনা আতঙ্কে। এই পরিস্থিতিতে দেশগুলির উদ্দেশ্যে হু বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে গিয়ে ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত সাজসরঞ্জামের ঘাটতি পড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় সরকার এবং উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে ওষুধ ও ওই সরঞ্জাম প্রস্তুতের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।
গোটা বিশ্বই এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। যদিও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন, ‘আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। গোটা বিষয় গুরুত্ব সহকারে নজর রাখা হচ্ছে।’ এদিকে করোনার দ্রুত সংক্রমণ দেখে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়ছে দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতে হু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের আর্জি জানিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পড়া দেশগুলির প্রতি। পাশাপাশি এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রায় ৪০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে করোনা মোকাবিলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইউরোপ, ইরান, মার্কিন মুলুক, ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এদেশের দিল্লি, আগ্রা, কেরল, তেলঙ্গনায় ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে ওষুধের উপাদানসহ ২৬টি ওষুধ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সংক্রমণের কারণে আগামী কয়েক মাস ওষুধের ঘাটতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এমন নির্দেশ দিয়েছেন।