New COVID-19
কলকাতা: কোভিডের করাল গ্রাস থেকে এখনও সম্পূর্ণ মুক্ত নয় বিশ্ব৷ খুব সামান্য হলেও, ভারতেও এখনও রয়ে গিয়েছে কোভিডের বিষ৷ ভ্যাকসিন অস্ত্রে অনেকটাই কাবু হয়েছে এই মারণ রোগ৷ পুরনো ছন্দে ফিরেছে বিশ্ব৷ কিন্তু এরই মাঝে ফের শোনা গেল বিপদের ইঙ্গিত৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভিন্ন রূপে নতুন করে হানা দিতে পারে কোভিড৷ আরও একবার ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস৷ শীতের গোড়াতেই সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
পুজো শেষ হতেই মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা আতঙ্ক৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গোটা দেশে মোট ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এমনিতেই শীতে কোভিডের ঝুঁকি বেশি থাকে। গত বছর শীতেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল। তবে ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩-এ এখনও পর্যন্ত কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবু ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। তাই শীত জাঁকিয়ে বসার আগেই সকলকে সতর্ক থাকতে বলছে হু।
তবে কি কোভিডের পুরনো রূপই নতুন করে জেগে উঠছে? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পুরনো কোনও প্রজাতি নয়, বরং কোভিডের প্রতিরূপ ‘এসআরএস-সিওভি২’ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এর সংক্রমণ নিয়ে এখনই অতটা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই কারণ কোভিডের এই নয়া রূপ এখনও মারাত্মক রূপ ধারণ করেনি। শুধুমাত্র অস্তিত্বের সন্ধান মিলেছে৷ আগামী দিনে এটি কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকেরা। কিন্তু, কথায় আছে, সাবধানের মার নেই৷ তাই আগে থেকে সতর্ক ও সাবধান থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷
চিকিৎসকরা বলছেন, শীতকালে শুরুতেই সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা বেশ পরিচিত৷ তবে এটা যে শুধু সাধারণ ঠান্ডা লাগা, তেমনটা নাও হতে পারে৷ বিশেষ করে যেখন কোভিড নিয়ে সতর্কতা রয়েছে৷ সাধারণ সর্দি-কাশিকে গুরুত্ব না দিলে, পরবর্তীতে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই ঝুঁকি এড়াতে নতুন করে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷
করোনা কোনঠাসা হতেই জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজার৷ তবে এই শীতে আর ঝুঁকি নয়৷ বিপদ এড়াতে ফিরিয়ে আনুন পুরনো অভ্যাস৷ চিকিৎসকরা বলছেন, বাসে, ট্রামে, মেট্রোতে মাস্ক ব্যবহার করলেই ভাল। খাওয়ার আগে এবং বাইরে থেকে ফিরে হয় সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন৷ আপাতত ভিড় এড়িয়ে চলাই ভালো। সর্দি-কাশিতে ভুগছেন এমন মানুষের চেয়ে দূরে থাকুন৷ সর্দি, জ্বর, কাশি তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।