নয়াদিল্লি: ক্রমেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ওমিক্রন৷ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের দাপট৷ বিশ্বের ৫৯টি দেশে এর হদিশ মিলেছে৷ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ পাশাপাশি ভারতেও ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন৷ দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৷ ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক বলে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ তবে এর মারন ক্ষমতা অনেকটাই কম৷ ওমিক্রন ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে বলে জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ কমাতে পারে টিকার কার্যকারিতা৷
আরও পড়ুন- ভারতীয়দের একটা বড় অংশ মাস্ক ব্যবহার করে না! রিপোর্টে চাঞ্চল্য
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য্ পাওয়া গিয়েছে তাতে, ‘ওমিক্রন’ ডেল্টার চেয়েও অধিক সংক্রামক হওয়ায় জনগোষ্ঠীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে৷ ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিতেই পারে৷ সেই সঙ্গে ফাঁকি দিতে পারে টিকার সুরক্ষা বলয়কেও। তবে কতটা ফাঁকি দিতে সক্ষম হবে, সেটাই দেখার বিষয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা গিয়েছে বহু টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই ‘ওমিক্রনে’ আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ওমিক্রন যে টিকাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে৷ এবার সেই তথ্যকেই মান্যতা দিল ‘হু’৷
এখন প্রশ্ন উঠছে তবে কি ওমিক্রনের হাত ধরেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে? ব্যর্থ হবে গণটিকাকরণ কর্মসূচি? যদিও ভাইরোলজিস্টরা এখনই এতটা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে প্রস্তুত নন৷ বরং তাঁদের পর্যবেক্ষণে মিলেছে আশার আলো৷ দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে অ্যা ন্টিবডি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি ওমিক্রন রুখতে শরীরে টি-লিম্ফোসাইট মেমোরি কোষ মজুত রয়েছে। ফলে তাঁরা মনে করছেন, এখনই এতটা উদ্বেগের কিছু নেই৷ সেই সঙ্গে তাঁরা আশার কথাও শুনিয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ বাড়িয়ে জনগোষ্ঠীতে প্রভাবশালী হতে গিয়ে আক্রমণের ফলা আরও ভোঁতা হবে৷ ধীরে ধীরে নির্জীব হয়ে পড়বে করোনা ভাইরাস।