কলকাতা: বেলা বাড়তে ফের বদলাতে শুরু করেছে ট্রেন্ড। যারা পিছিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এগিয়ে গেলেন৷ যাঁরা সকাল থেকে এগিয়ে ছিলেন, তাঁরা আবার পিছিয়ে পড়লেন দৌড়ে৷ দেখা নেওয়া যায় বর্তমান ট্রেন্ড৷
আরও পড়ুন- কমিশনকে ‘ফুল মার্কস’! আর কোনও দিন বাংলা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে বিজেপি’র?
এই মুহূর্তে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ৷ তিনি পিছনে ফেলেছেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে৷ আবার উল্লেখজনক ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা কেন্দ্রে ভারতী ঘোষকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন হুমায়ুন কবীর৷ সকাল থেকে এই কেন্দ্রে এগিয়েছিলেন ভারতী৷ কলকাতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চৌরঙ্গী কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাঁকুড়ায় এগিয়ে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চন্ডীতলায় এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সোহম৷ এগিয়ে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, রাজ চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন৷ কৃষ্ণনগরে এগিয়ে রয়েছেন মুকুল রায়৷ পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়৷ পিছিয়ে গিয়েছেন বেহালায় বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, চুঁচুড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায় ও চন্ডীতলায় যশ দাশগুপ্ত৷ পিছিয়ে সংযুক্ত মোর্চার মহম্মদ সেলিম৷
বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের উচ্ছ্বাস৷ উড়ছে সবুজ আবীর৷ হচ্ছে মিষ্টিমুখ৷ অন্যদিকে, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পরাজয় খুবই আশ্চর্যজনক৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি আসনে পরাজয় দেখে আমরা অবাক৷ এর পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে৷ পরে তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে৷
উল্লেখ্য, চাঁচল, নবদ্বীপ, পলাশিপাড়া, সুজাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, নাকাশিপাড়া, তেহট্ট, ভগবানগোলা, কেশপুর, পূর্বস্থলী উত্তর, কালনা, জামালপুর, হেমতাবাদ, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, আরামবাগ, খড়গ্রাম, মহিষাদলে এগিয়ে তৃণমূল৷ অন্যদিকে, গাজোল, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, মাথাভাঙা, মুর্শিদাবাদ, মঙ্গলকোট, মন্তেশ্বর, গলসি, সোনামুখী, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, খানাকুলে এগিয়ে বিজেপি৷