মোদীর পর বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

মোদীর পর বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

prime minister

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৯ সালের লোকসভা  নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী মুখ হবেন যোগী আদিত্যনাথ। এ বিষয়ে সরাসরি নাম না করে এমনই মন্তব্য করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর যিনি উত্তরসুরি হবেন তিনি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী। অর্থাৎ কারও নাম না করে প্রশান্ত কিশোর যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকেই বুঝিয়েছেন সেটা আর বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।

প্রশান্ত কিশোর ওই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিজেপি ও আরএসএসের গত দু’বছরের নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্তকে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। প্রথমে নেতৃত্বে ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আদবানি। বাজপেয়ী উদারমনা হলেও আদবানিকে লোকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসেবেই জানে। এরপর নেতৃত্ব দিয়েছেন আদবানি আর নরেন্দ্র মোদী। দু’জনেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত। এখন দল চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। তাঁরা দুজনেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত। তাই ধরে নেওয়া যায় এরপর যিনি আসবেন তিনি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী।” অর্থাৎ যোগী আদিত্যনাথের কথাই বলতে চেয়েছেন ভোটকুশলী। সেই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট জানিয়েছেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন বলে প্রশান্ত কিশোর মনে করছেন।

২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদীর বয়স ৭৫ পেরিয়ে যাবে। তাই বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী সেই বয়সে মোদী নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তাই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কারও নাম না করে যা বলেছেন তাতে এটাই স্পষ্ট যে, তিনি যোগী আদিত্যনাথের কথাই বলতে চেয়েছেন। কারণ আরএসএসের গুডবুকে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। যেভাবে পরপর দু’বার একার দক্ষতায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ক্ষমতায় রেখে দিয়েছেন তিনি, তাতে যোগীর উপর আরএসএসের ভরসা অনেক বেড়ে গিয়েছে।

আর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ভোটকুশলীর ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত। সদ্য হিন্দি বলয়ের তিনটি রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। যে নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবে দেখেছিলেন রাজনীতির কারবারিরা। যদিও প্রশান্ত কিশোর সেই নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবে দেখতে রাজি নন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই তিনটি রাজ্যে থাকা প্রায় সমস্ত  আসনেই বিজেপি জয়লাভ করে। তাই এবারেও যদি বিজেপি এই তিনটি রাজ্যে খারাপ ফল করত, তাহলেও লোকসভায় তাদের জিততে কোনও অসুবিধা হতো না।” এভাবেই ভোটকুশলী বোঝাতে চেয়েছেন যে লোকসভা নির্বাচন হবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। তাই বিধানসভা ভোটে জয় পরাজয় যাই হোক না কেন, তার প্রভাব লোকসভায় পড়বে না। সবমিলিয়ে বিজেপির আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন তা নিয়ে প্রশান্ত কিশোর যথেষ্ট বিতর্ক উস্কে দিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *