কোন রক্তের গ্রুপে করোনার সম্ভাবনা সর্বাধিক, কী বলছেন গবেষকরা

করোনা নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্বে। পাশাপাশি এই ভাইরাস নিয়ে গুজবও ছড়াচ্ছে এন্তার। কেউ বলছেন, উষ্ণতা বাড়লে করোনা ভাইরাসের সক্রিয়তা কমতে থাকে। কেউ আবার বলছেন, ঠিক উল্টোটা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফিলিপিন্স জানিয়েছে, ঠান্ডা হোক বা গরম, করোনার সক্রিয়তার আবহাওয়ার প্রভাব নেই। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বিশেষ রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক পেয়েছেন চীনের গবেষকরা। তাঁদের সমীক্ষা বলছে, 'এ' গ্রুপধারীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তুলনামূলকভাবে ঝুঁকি কম 'ও' গ্রুপধারীদের।

47ac4a13b7dc0f9338a3eaac7e98fab5

নয়াদিল্লি: করোনা নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্বে। পাশাপাশি এই ভাইরাস নিয়ে গুজবও ছড়াচ্ছে এন্তার। কেউ বলছেন, উষ্ণতা বাড়লে করোনা ভাইরাসের সক্রিয়তা কমতে থাকে। কেউ আবার বলছেন, ঠিক উল্টোটা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফিলিপিন্স জানিয়েছে, ঠান্ডা হোক বা গরম, করোনার সক্রিয়তার আবহাওয়ার প্রভাব নেই। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বিশেষ রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক পেয়েছেন চীনের গবেষকরা। তাঁদের সমীক্ষা বলছে, 'এ' গ্রুপধারীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তুলনামূলকভাবে ঝুঁকি কম 'ও' গ্রুপধারীদের।

চীনের বেজিং, উহান, সাংহাই, শেনঝেন শহরের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন। প্রায় ২০০০ জন করোনা আক্রান্তের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। উহান ছাড়াও শেনঝেন শহরের বাসিন্দারা ছিলেন সেই তালিকায়। স্থানীয় ৩ হাজার ৬৯৪ জন সুস্থ ব্যক্তির নমুনার সঙ্গে তুলনা করে দেখা হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। সেই গবেষণায় প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, 'এ' পজিটিভ ও 'এ' নেগেটিভ গ্রুপধারীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তবে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের তরফে জানানো হয়েছে,  এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। ১১ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা পত্রটি।

গবেষকদলের তরফে বলা হয়েছে, 'করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে অন্যান্য গ্রুপের চেয়ে তুলনামূলক আশঙ্কা কম 'ও' গ্রুপধারীদের।' এছাড়াও করোনা সংক্রমণে উহান শহরের ২০৬ জন মৃত ব্যক্তির নমুনাও সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০৬ জন মৃতের মধ্যে ৮৫ জনেরই রক্তের গ্রুপ ছিল 'এ'। আর ৫২ জনের রক্তের গ্রুপ 'ও'। অন্যদিকে,  উহানের এক কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৩৪ শতাংশ মানুষেরই রক্তের গ্রুপ 'এ'। শহরের করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ২৬ শতাংশ 'ও' গ্রুপধারী এবং ৩৮ শতাংশ 'এ' গ্রুপধারী বলে জানা গেছে। তবে এই পরিসংখ্যান কতটা সঠিক, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। গবেষকদের তরফে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত গবেষণা আরও হওয়া প্রয়োজন।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *