কেমব্রিজ: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য এখন মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। পৃথিবীর এমন কোন মানুষ বাকি নেই যিনি হয়তো এইসময় মাস্ক পড়েননি। কিন্তু সব ধরনের মাস্ক কি সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম? যদি কোন মাস্ক সক্ষম হয়, তাহলে আদতে তা কোন কাপড়ে তৈরি? আসলে কোন ধরনের কাপড় সংক্রমণ রোগ করতে সবচেয়ে বেশি সক্ষম, সেই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি রোধে মাস্ক ব্যবহার করার সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই কোন ধরনের কাপড় দিয়ে মাস্ক তৈরি হলে তা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে তা জানতে গেঞ্জি, মোজা, এন৯৫ মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, জিন্সের কাপড় এবং ভ্যাকুয়াম ব্যাগের কাপড় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে ছিল তারা। এই গবেষণায় সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা দেখা গেছে এন৯৫ মাস্কের। করোনাভাইরাস রোধে বা যে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া রোধে এই মাস্কের কাপড়ের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি। কাপড়ের বেশি স্তর থাকা মানেই সেটি কার্যকারী হবে এমন কোনো আবশ্যকতা নেই। কারণ ঘরে তৈরি মাস্কে কাপড়ের স্তর বেশি দিলে শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে অন্য এক গবেষণায় জানা গিয়েছিল, ভ্যাল্ব যুক্ত এন৯৫ মাস্ক শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে না সেটি। কি কারণে একাধিক দেশসহ ভারতও এই মাস্ক নিষিদ্ধ করেছে। ভ্যাল্ব ছাড়া এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে।
এই গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণে মাস্ক ধোয়া হলে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। বারবার ধোঁয়ার কারণে মাস্কে ব্যবহৃত কাপড় নিজের কার্য শক্তি হারায়, যার ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আটকাতে পারে না। এই কারণে মাস্ক বেশি না ধুতেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জিন্সের কাপড় দিয়ে তৈরি মাস্ক পরা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, মোটা স্তর হওয়ার জন্য অন্যান্য জীবাণু আটকাতে পারলেও এই কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরলে শ্বাস নিতে সমস্যা হবেই। সেই কারণে এই কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে না বলে গবেষণায় জানা গিয়েছে।
গবেষণায় আরো প্রকাশ পেয়েছে, ইউজ এন্ড থ্রো সার্জিক্যাল মাস্ক ভাইরাস রোধে যথেষ্ট সক্ষম। তবে এই ধরনের মাস্ক যে কাপড় দিয়ে তৈরি হয়, তাতে বেশ কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে এই মাস্ক তৈরি না করে পরা উচিত নয় বলে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।